‘…দুদিনের প্রেম-ও হয় অবিনশ্বর’; মর্মে বিঁধল ‘সাতজন্মের পরিচয়’
গত ১১ই এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘কিলবিল সোসাইটি’। এরমধ্যেই বক্সঅফিসে ভালোই সাড়া ফেলেছে ‘হেমলক…’-এর সিক্যোয়েল। সেই মরশুমেই মুক্তি পেল ছবির বহুপ্রতীক্ষিত গান ‘সাতজন্মের পরিচয়’।
আনন্দ-মেঘনা থেকে মৃত্যুঞ্জয়-পূর্ণা, গল্প দুটোর মধ্যে তেরো বছরের ফারাক। কিন্তু সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের যেকোনো ছবির গানের অ্যালবামের জনপ্রিয়তার বোধহয় কোনো ফারাকই নেই। ‘কিলবিল সোসাইটি’ই বা হঠাৎ তার ব্যতিক্রম হবে কেন! তাই একইরকম আবেগ, ভালোবাসা আর যত্ন নিয়েই তৈরি হয়েছে ছবির প্রত্যেকটা গান। গতকাল, ২০শে এপ্রিল SVF-এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেল ছবির আরেক গান ‘সাতজন্মের পরিচয়’।
পাঁচমিনিটের এই গানে ফুটে উঠেছে মৃত্যুঞ্জয় (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়), পূর্ণা (কৌশানী মুখোপাধ্যায়), পূর্ণার দিদি ও মায়ের রসায়ন। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও, পরিণতির দিকে এগোতে এগোতেও, এখনো কিছু মানুষ ভরসা রাখেন ভালোবাসায়। তাঁরা জানেন, ‘সাতজন্মের পরিচয়’-এ মৃত্যু কোনো আঁচড় কাটতে পারে না। ‘এ হন্যতে শরীরে না’ হলেও ‘সে অন্যথা দেবে দেখা’।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের লেখা এই গানে সুর দিয়েছেন সুরকার-গায়ক রণজয় ভট্টাচার্য্য। গানটি গেয়েছেন দুর্নিবার সাহা। সানাই আর তবলার সঙ্গতে অন্য এক মাত্রা পেয়েছে ‘সাতজন্মের পরিচয়’। গত মাসের শেষে, ভারতের উচ্চতম ওয়াচ টাওয়ারে, বেশ জাঁকজমক করে হয়েছিল ছবির মিউজিক লঞ্চ অনুষ্ঠান।
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়-সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৌশানি মুখোপাধ্যায়, সন্দীপ্তা সেন, বিশ্বনাথ বসু, অরিজিতা মুখোপাধ্যায়ের মতো কলাকুশলীরা। উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতজগতের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বেরা। অনুপম রায়, সোমলতা আচার্য্য চৌধুরী, রণজয় ভট্টাচার্য্য, দুর্নিবার সাহা, তমালিকা গোলদার, সুদীপ নন্দী, সিধুর (সিদ্ধার্থ রায়) উপস্থিতি বাড়িয়ে দিয়েছিল সকলের উৎসাহ। তাঁদের গানে গানে জমে গিয়েছিল অনুষ্ঠান।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং কৌশানি মুখোপাধ্যায় ছাড়াও, এই ছবির তিন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন বিশ্বনাথ বসু, সন্দীপ্তা সেন ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ছবির প্রশংসায় ভরে গিয়েছে নেটপাড়া। অনেকে এ ছবির তুলনাও টানছেন ‘হেমলক সোসাইটি’-র সঙ্গে।
নিজের ভালোবাসার মানুষের কাছে প্রতারিত হয়ে, প্রিয়জনদের থেকে বিতাড়িত হয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পূর্ণা। আত্মহত্যা করার সাহস না থাকায়, নিজের মৃত্যুর সুপারি সে দিয়েছিল অন্যকে। পরিচালকের মতে, এই পূর্ণা চরিত্রটি আসলে জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির আদলে গড়া। মৃত্য অবশ্য আলিঙ্গন করতে পারেনি অ্যাঞ্জেলিনাকে, কিন্তু পূর্ণার গল্পটা ঠিক কেমন হবে! সেটা জানার জন্যই হয়ত উপেক্ষা করা যায় না প্রেক্ষাগৃহের হাতছানি।