Timir Biswas: ধ্রুবর ‘জীবন নদী’-র গান তিমিরের কণ্ঠে
আগামী ২৮শে ফেব্রুয়ারি বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরীর ছবি ‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’। আর তার আগেই, জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তিমির বিশ্বাসের কণ্ঠে মুক্তি পেল ছবির নতুন গান। গানের নাম ‘জীবন নদী’।
‘জীবন নদী’র তল মাপার চেষ্টা আদতে বৃথা। সে-নদীর গভীরতা মাপতে গেলে খালিহাতেই ফিরতে হয় বারংবার। গানের মর্মস্পর্শী কথায় ফুটে উঠেছে আমাদের এই জীবনের গল্প বয়ে চলার আখ্যান। প্রায় মিনিটদুয়েকের ছোট্ট এই গানে ধরা পড়েছে ধ্রুবর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়। স্বরজিৎ রাতুল গুহের বাঁশি এ-গানে যোগ করেছে আলাদা মাত্রা।
প্রলয় সরকারের কথায় ও সুরে এই গান গেয়েছেন তিমির বিশ্বাস। বর্তমানে যথেষ্ট জনপ্রিয় তাঁর গাওয়া লোকগীতি থেকে মৌলিক কম্পোজিশন। ছবির প্লেব্যাকেও নিয়মিত শোনা যায় তাঁর কণ্ঠ। এবারেও দর্শকদের ভালোবাসা জিতেছেন তিনি।
‘ধ্রুবর আশ্চর্য জীবন’ একেবারে অন্যরকম একটা ছবি। চারজন বাঙালি কিংবদন্তী শিল্পীকে (যামিনী রায়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিকাশ ভট্টাচার্য, বিনোদবিহারী মুখার্জী) শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়েছে এই ছবির মাধ্যমে। তৈরি হয়েছে মাল্টিভার্স। ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের ভিস্যুয়াল গ্রাফিক্সের।
পরিচালক জানিয়েছিলেন, এই চার শিল্পীর কাজের থিম অনুযায়ী চারটি জগৎকে তৈরি করা হয়েছে। আর্ট কলেজ থেকে ইউরোপিয়ান আর্টে প্রশিক্ষিত যামিনী রায়, সব ছেড়ে দেশীয় শিল্প রীতি পটচিত্র বেছে নেন। অন্যদিকে, দেশের অন্যতম অগ্রণী পলিটিক্যাল কার্টুনিস্ট গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষে প্রথম কিউবিজম নিয়ে কাজ করেন। বিকাশ ভট্টাচার্যের চিত্রকলায় ছিল অসাধারণ বহুমুখিতা। আবার বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় তার মুর্যাল আর্ট এবং স্ক্রল আর্টের জন্য প্রসিদ্ধ। দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও তিনি তার শিল্প সৃষ্টিতে অবিচল ছিলেন।
সম্পূর্ণ ভিন্নধারার এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋষভ বসু। এছাড়াও, ঋত্বিকা পাল, কোরক সামন্ত, যুধাজিৎ সরকার, বাদশা মৈত্র, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, আনন্দরূপা চক্রবর্তী প্রমুখ রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। ছবিটি নিবেদন করছেন বলি ও টলিপাড়ার জনপ্রিয় পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী।
আটলান্টা, NABC এবং কলকাতা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একাধিক বিভাগে জিতেছে এই ছবি। পেয়েছে দর্শকদের প্রশংসাও। তাই ছবির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস রয়েছে নির্মাতাদের মনে। এই ছবি যে আবারও দর্শকদের মন কাড়তে পারবে, সে-কথা হয়ত নিশ্চিতভাবে বলা যায় এখনই।