দেখতে দেখতে পাঁচ, কেমন হয় সিনেপাড়ার সরস্বতীপুজো?
সিনে‘মা’ সরস্বতী। হ্যাঁ, সিনেদুনিয়ার সরস্বতীপুজোর এটাই নাম। দেখতে দেখতে পাঁচবছর পূর্ণও হয়ে গেল এই পুজোর।
রাত পোহালেই সরস্বতীপুজো। বাঙালির বই পড়া থেকে প্রেমে পড়া, সবেরই আঁতুড়ঘর এই পুজো। কিন্তু শুধু বিদ্যের দেবী তো তিনি নন! সরস্বতী শিল্পেরও দেবী। আর তাই, সিনেপাড়া হোক বা টেলিপাড়া, শিল্পের দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন সব শিল্পীরাই। থাকেন অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক, টেকনিশিয়ান – সকলেই। এই পুজো সম্ভবত বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির এক এবং অদ্বিতীয়, বৃহত্তম মিলনোৎসব।
উদ্যোক্তাদের মতে, ‘সিনেমা সরস্বতী’ এখন শুধু একটা পুজো নয়, ঐতিহ্য। প্রবীণ-নবীন সববয়সের শিল্পীরাই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন সমানভাবে। চলে আড্ডা-গল্প, হইহুল্লোড়। ভোগের প্রসাদে মিশে যায় বন্ধুত্ব আর খুনসুটি। সন্ধ্যা জমে ওঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। তবে এবারের অনুষ্ঠানে রয়েছে আরেক বিশেষ সংযোজন। কেবল মিলনোৎসব নয়, তরুণ প্রতিভাদের জন্য এবারের অনুষ্ঠান এক নতুন মঞ্চও বটে। অভিজ্ঞ পরিচালক, প্রযোজকদের সামনে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারবেন তাঁরা।
টলি এবং টেলিপাড়ার যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই পুজো আসলে শিল্পের উদযাপন, শিল্পের দেবীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর এক প্রয়াস। গল্ফগ্রীনের দুর্গাপুজা প্রাঙ্গণে, আগামীকাল, বেলা এগারোটার পর থেকেই শুরু হয়ে যাবে অনুষ্ঠান।