Live Entertainment & Love Lifestyle

Friday, April 11, 2025
Tollywood

প্রয়াত পরিচালক অরুণ রায়, শোকস্তব্ধ দেব-কিঞ্জল

কর্কটরোগ থাবা বসিয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। শহরের এক সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন তিনি। তবে নতুন বছরের শুরুতেই এল দুঃসংবাদ। শহরের বুকে, আজ বৃহস্পতিবার (০২/০১/২০২৫) সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন পরিচালক অরুণ রায়।

পরিচালক হিসেবে অন্যতম সফল ছিলেন অরুণাভ রায়চৌধুরী, ওরফে অরুণ রায়। বানিয়েছেন একের পর এক দুর্দান্ত ছবি। ২০১১ সালে তিনি তৈরি করেছিলেন ‘এগারো’ ছবিটি। এগারোজন ভারতীয় ফুটবলারের ‘কাপ-জয়’-এর কাহিনী নিয়ে ছিল ছবির গল্প। তারপর বানিয়েছেন ‘হীরালাল’, ‘৮/১২ বিনয় বাদল দীনেশ’, ‘বাঘাযতীন’-এর মত ছবি। দেব অভিনীত, ‘বাঘাযতীন’ ছবিটি তৈরির সময়েই ধরা পড়েছিল তাঁর খাদ্যনালীর ক্যান্সার। তারপর থেকেই অল্পবিস্তর ভুগছিলেন পরিচালক। চিকিৎসাধীন ছিলেন আর জি কর হাসপাতালে।

গত ২১শে ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অরুণ রায়কে। ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ক্রমশই অবনতি হচ্ছিল পরিস্থিতির। শেষে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। কয়েকদিন আগেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন দেব। পরিচালকের মৃত্যুর পরে, সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ। ‘হীরালাল’ এবং ‘৮/১২ বিনয় বাদল দীনেশ’ ছবিদুটিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। অন্যদিকে, আর জি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল। অভিনেতা লেখেন, ‘হীরালালের মতোই, আমার হীরালাল, ভালো থেকো।’ দেবের প্রযোজনা সংস্থার পেজ থেকেও প্রয়াত পরিচালকের প্রতি জানানো হয়েছে শ্রদ্ধা। জানা গিয়েছে, দুপুরে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ।

সুদক্ষ এই পরিচালকের অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। গতবছরের ডিসেম্বরেও শোনা গিয়েছিল একাধিক নক্ষত্রপতনের সংবাদ। নতুন বছরে তারার দেশে পাড়ি দিলেন অরুণ রায়ও।

Author

  • Debasmita Biswas

    বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।

    View all posts

Debasmita Biswas

বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।