দাবা খেলা নিয়ে এর আগে ছবি তৈরী হয়নি বাংলা ভাষায়। তাঁর অন্য ছবিগুলোর মতই একেবারে অন্যধাঁচের গল্প নিয়ে ফের হাজির পরিচালক পথিকৃৎ বসু। এবারে তাঁর হাত ধরেছেন প্রযোজনা সংস্থা ‘উইন্ডোজ’।
তবে তাঁর এবারের ছবির কাহিনী কোনো গল্প বা উপন্যাস আধারিত নয়। ছবিটি আসলে কাল্পনিক নয় একেবারেই। বাঙালি দাবাড়ু সূর্যশেখর গাঙ্গুলীর জীবন থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবি। গতবছর প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, শীতেই বড়পর্দায় আসতে চলেছে ‘দাবাড়ু’। তবে তা হয়ে ওঠেনি। তাই এইবছর গ্রীষ্মেই মুক্তি পেতে চলেছে নন্দিতা রায় এবং সঞ্জয় আগরওয়াল নিবেদিত এই ছবি।
উত্তর কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারের বাচ্চা ছেলে সূর্য দুর্দান্ত দাবা খেলতে পারে। সব সমস্যায় সে পাশে পায় মা করুণাদেবী এবং দাদা নবীনকুমারকে। প্রশিক্ষক রথীন্দ্রও নানাভাবে সাহায্য করেন সূর্যকে। বাঙালি দাবাড়ু সূর্যশেখর গাঙ্গুলী গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার পথে সম্মুখীন হয়েছিলেন বহু প্রতিকূলতার। তিনবছর বয়স থেকে তাঁর ‘ভারতের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার’ হয়ে ওঠার যাত্রাই ‘দাবাড়ু’র অনুপ্রেরণা।
কেবল গল্প নয়, এই ছবির কাস্টিংয়েও রয়েছে চমক। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, দীপঙ্কর দে, খরাজ মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, বিশ্বনাথ বসু, শঙ্কর চক্রবর্তী প্রমুখ তাবড় তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন এই ছবিতে। মুখ্য চরিত্র সূর্যর ভূমিকায় দেখা যাবে অর্ঘ্য বসুরায়কে। সমদর্শী সরকারকে দেখা যাবে ছোট সূর্যর ভূমিকায়।
প্রযোজনার তরফ থেকে মোশন পোস্টার শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘আসল খেলা এবার শুরু, বুকের ভেতর দুরুদুরু,/ ক্রোধ অপমান আর একবুক গ্লানি নিয়ে জন্ম নিচ্ছে দাবাড়ু।’ আরেকটি পোস্টে আবার লেখা, ‘চৌষট্টি খোপের যুদ্ধক্ষেত্র,/ কালো সাদা দুই প্রতিপক্ষ,/ হাতি, ঘোড়া, মন্ত্রী, সব ষড়যন্ত্রী নেবেই দাবাড়ুর পক্ষ!’
বনি চক্রবর্তী এবং প্রসেনের হাতে থাকছে এই ছবির মিউজিকের দায়িত্ব। ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন অরিত্র ব্যানার্জী এবং সংলাপ লিখেছেন অর্পণ গুপ্ত। উইন্ডোজের হাত ধরে পথিকৃৎ বসুর এই নতুন ছবি আসছে আগামী ১০ই মে।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।