ওটিটি ওয়েব সিরিজ ‘পঞ্চায়েত’-এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে রয়েছে গোটা দেশে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের তৃতীয় সিজন। এই জনপ্রিয় ওয়েবসিরিজের ভূষণকে নিশ্চয়ই চেনেন আপনিও? কিন্তু জানেন কি, একটা সময়ে প্রবল অনিচ্ছাসত্ত্বেও নীলছবিতে কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এই অভিনেতা!
সম্প্রতি অভিনেতা দুর্গেশ কুমার জানিয়েছেন এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘পঞ্চায়েত’-এর তৃতীয় সিজনের বেশ অনেকটা অংশ জুড়ে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দর্শকদের ভালবাসাও পেয়েছেন তিনি। তার মাঝেই নিজের মুখে এমন একটি সংবাদ জানালেন ‘ভূষণ’ স্বয়ং। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘অভিনয় ছাড়া আমি বাঁচতে পারতাম না। আমি নিজের ক্ষমতাটা জানতাম। তাই অভিনেতা হওয়ার পথে যে কাজ এসেছে, সেই কাজই করতে বাধ্য হয়েছি আমি।’
কেবল তা-ই নয়, সম্প্রতি জানা গিয়েছে আরো এক অজানা তথ্য। মাত্র এক দশকের মধ্যেই দু’বার অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ফুলেরার ভূষণ। তিনি বলেন, ‘অভিনেতা হতে গেলে মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে, আর্থিকভাবে তৈরী হতে হয়। মাত্র এগারো বছরের মধ্যে আমি দু’বার অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম। যতক্ষণ না কেউ মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে, আর্থিকভাবে তৈরী হচ্ছে, ততক্ষণ তার অভিনয়জগতে আসা উচিৎ নয়।’
এর আগে, ‘হাইওয়ে’, ‘সুলতান’, ‘ফ্রিকি আলি’তে কাজ করেছেন দুর্গেশ। কাজ করেছেন ‘দিল বেচারা’, ‘সঞ্জু’, ‘লাপাতা লেডিজ’-এও। কিন্তু তিনি জানান, ‘হাইওয়ে’, ‘সুলতান’, ‘ফ্রিকি আলি’র মত ছবিতে কাজ করার পরেও কাজ পাওয়ার জন্য কম কষ্ট করতে হয়নি তাঁকে। তিনি বলেন, ‘অন্তত একটা চরিত্রে কাজ পাওয়ার জন্য আমি নির্মাতাদের পা পর্যন্ত ধরেছিলাম!’ তাঁর বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে মজা করতেন, তা সত্ত্বেও নিজের জেদ ছাড়েননি অভিনেতা।
নীল ছবিতে অভিনয় হোক, বা অবসাদের শিকার, সবকিছু নিয়ে কথা তো হবে অবশ্যই। কিন্তু সব ছাপিয়ে কথা হবে তাঁর অভিনয় নিয়ে, নিজেকে সেইভাবেই তৈরী করেছেন ‘ভূষণ’।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।