কোক স্টুডিয়ো বাংলার নতুন নতুন গানে প্রায়শই মুগ্ধ হন শ্রোতারা। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাদের নতুন গান ‘মা লো মা’। আর এই গানের খ্যাতি এখন কেবল বাংলাতেই আটকে নেই। বিশ্বজুড়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ‘মা লো মা’।
এই গানের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। এর আগে নববর্ষেও তাঁতশিল্পীদের নিয়ে এক অন্যমাত্রার গান বেঁধেছিলেন তাঁরা। জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সেই গানও। তবে নতুন গান ‘মা লো মা’-র জনপ্রিয়তা যেন ছাড়িয়ে গিয়েছে সবাইকেই।
ভাষার ঘেরাটোপ পেরিয়ে এই গান ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের দরবারে। কোক স্টুডিয়ো বাংলার নতুন এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান ও আলি হাসান।
কোক স্টুডিয়ো বাংলার এই গানের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে জীবনদর্শন। গানের কথায় ব্যবহৃত হয়েছে বেশ কিছু রূপকধর্মী শব্দও। যেমন গানে ব্যবহৃত ‘ভাঙ্গা নৌকা’ শব্দবন্ধ বুঝিয়েছে জীবনের সমস্যার কথা।
জীবনে ওঠাপড়া থাকবেই। কিন্তু বিষধর সাপ দংশন করার পরেও স্বামীর জীবনের আশা ত্যাগ করেননি বেহুলা। সমস্যার সম্মুখীন হলে সেই সমস্যাকে ভবিতব্য ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং সেই ‘ভাঙা নৌকা’ বেয়েই পৌঁছতে হবে নিজের গন্তব্যে।
মুক্তির পর থেকেই শ্রোতাদের মনে পাকাপাকিভাবে জায়গা করে নিয়েছিল ‘মা লো মা’। তবে এই গানকে পড়তে হয়েছিল বিতর্কের মুখেও। কোক স্টুডিও বাংলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই গানটির গীতিকার বাউল আব্দুল খালেক দেওয়ান! কিন্তু নেত্রকোণার সংস্কৃতি কর্মীদের মতে, এই গানের আসল গীতিকার প্রয়াত বাউলশিল্পী রশিদ উদ্দিন!
বিতর্ক ও বাঁকা মন্তব্যের কাঁটা বিছানো রাস্তা পেরিয়েও অবশেষে এ গান যে কোক স্টুডিয়োর আরেক গান ‘পাসুরি’র মতই বিশ্বের দরবারে পৌঁছতে পেরেছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই খুশী আপামর বাঙালি। চলার পথে এই গানকেও বাইতে হয়েছে ‘ভাঙা নৌকা’ই। গানের কথার সঙ্গে যাত্রার এমন মিল সহজে কি আর দেখা যায়!
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।