কথা ছিল, আগামী ১৪ই জুন বড়পর্দায় মুক্তি পাবে পরিচালক রাতুল মুখার্জীর নতুন ছবি ‘কালিয়াচক’। সেই ছবির জন্য সাগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন অনেকেই। কিন্তু তাদের সকলের জন্যই এল দুঃসংবাদ। পিছিয়ে গেল ছবির মুক্তির তারিখ।
নানাধরনের বিতর্কিত ঘটনায় প্রায়শই খবরের শিরোনামে থাকে মালদার কালিয়াচক অঞ্চল। প্রায়ই শোনা যায় এই অঞ্চলে ঘটে যাওয়া অপরাধমূলক ঘটনার কথা। গত ২৯শে মে মুক্তি পেয়েছিল ছবির ট্রেলার। ট্রেলারে দেখা গিয়েছিল, কালিয়াচকের অন্ধকারজগতের টুকরো টুকরো ছবি।
বছরতিনেক আগে, খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বছর উনিশের, স্কুলের গণ্ডি না পেরনো এক তরুণ হত্যা করেছিল তার পরিবারের চার সদস্যকে। সেই কুখ্যাত ‘কালিয়াচক হত্যাকাণ্ড’ উঠে আসবে রাতুলের নতুন ছবিতে।
ছবির পুরো নাম ‘কালিয়াচক চ্যাপ্টার ১’। ইতিপূর্বে নয়ন রাজ এবং ‘শাহী বাংলা ফিল্মস’ প্রযোজিত এই ছবি নির্মাণের বিরোধিতা করেছিল কালিয়াচকের স্থানীয়রা। সত্য ঘটনা দ্বারা অনুপ্রাণিত এই ছবি মুক্তি পেলে এলাকার বদনাম হতে পারে, এমন ধারণা ছিল তাদের। সেরকম কোনো কারণেই কি পিছিয়ে গেল ছবির মুক্তি? তা অবশ্য খোলসা করেননি নির্মাতারা। তবে জানিয়েছেন, ‘কিছু অপ্রত্যাশিত কারণে আমাদের ‘কালিয়াচক চ্যাপ্টার ওয়ান’-এর মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দিতে হচ্ছে।’
ছবিতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে নবাগত অসীমকে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন রূপাঞ্জনা মিত্র, পার্থসারথি, দেবপ্রসাদ হালদার ও দেবপ্রতিম দাশগুপ্তকে। একজন দাপুটে পুলিশ অফিসার সুধা মালাকারের চরিত্রে দেখা যাবে রূপাঞ্জনাকে। ছবিতে পার্থসারথির চরিত্রের নাম ফজল মিঞা, বহুদিন পরে তাঁকে একেবারে ভিন্নধরনের চরিত্রে দেখতে পাবেন দর্শক। অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়াও এই ছবিতে দেখা যাবে একাধিক কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে।
তবে ১৪ তারিখের পরিবর্তে কবে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি, তা কিন্তু এখনো জানাননি নির্মাতারা। দর্শকদের আস্বস্ত করে তাঁরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তাঁরা জানাবেন তাঁদের ছবির নয়া মুক্তির তারিখ। সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরী এই ছবির ট্রেলার যথেষ্ট ভালবেসেছিলেন দর্শকেরা। একইদিনে মুক্তিপ্রাপ্ত গানের অ্যালবামও ভালবাসা কুড়িয়েছিল মানুষের কাছ থেকে। ছবির মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক কারণেই মনখারাপ সকলের।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।