সম্প্রতি বাঙালির মন ছুঁয়েছে তাঁর পরিচালিত ‘কাবুলিওয়ালা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই ছোটগল্পকে তিনি অন্যভাবে তুলে এনেছেন পর্দায়। তিনি পরিচালক সুমন ঘোষ। এবার বাঙালির প্রিয় অভিনেত্রী অপর্ণা সেনের জীবন হতে চলেছেন তাঁর পরবর্তী ছবির বিষয়।
সুমন ঘোষের পরবর্তী ছবিটি একটি ডকুমেন্টারি ছবি। নাম ‘পরমা (আ জার্নি উইথ অপর্ণা সেন)’। ছবিটি ইতিমধ্যেই প্রশংসা পেয়েছে বেশ কিছু প্ল্যাটফর্মে। ‘নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’, ‘লন্ডন ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-সহ একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এই ছবি। ‘পারমিতার একদিন’, ‘গয়নার বাক্স’-এর মত অভিনেত্রীর বিভিন্ন বিখ্যাত কাজের স্থানগুলো সুমন ঘুরেও দেখেছেন ছবি তৈরীর জন্য।
সুমন বলেন, ‘অভিনেত্রী হিসেবে অপর্ণা সেনের কেরিয়ার দেখে বোঝা যায়, ছয়-সাতের দশকে অধিকাংশ পরিচালক বুঝতে পারতেন না, তাঁকে কীভাবে ব্যবহার করা যায়। ‘সমাপ্তি’, ‘বাক্সবদল’, ‘বসন্ত বিলাপ’-এর মত হাসির ছবিগুলো ছেড়ে দিলে, ‘আকাশকুসুম’, ‘অপরিচিতা’-র মত খুব কম ইমোশনাল ছবিতে কাজ করতে পেরেছেন তিনি।’
অপর্ণা সেনের জীবন, তাঁর কেরিয়ারের বিভিন্ন পর্যায়, সবকিছুই রয়েছে এই ডকুমেন্টারিতে। কেবল অভিনেত্রীর জীবন নয়, এই ডকুমেন্টারিতে ফুটে উঠবে তাঁর পরিচালক-জীবনও। ‘মায়া লীলা ফিল্মস’ নিবেদিত এই ছবির পোস্টার এঁকেছেন একতা ক্রিয়েটিভ টেলস।
১৯৬১ সালে, সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে, অভিনয়জগতে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। তার দু’দশক পরে তিনি পরিচালনা করেন তাঁর প্রথম ছবি ’৩৬ চৌরঙ্গী লেন’। দুর্দান্ত অভিনয় এবং অসাধারণ পরিচালনা দিয়ে তিনি জিতেছিলেন মানুষের হৃদয়। কেবল বাংলাতেই নয়, অপর্ণা সেন ছবি বানিয়েছেন হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষাতেও। দেশে বিদেশে বহুলপ্রশংসিত হয়েছে তাঁর ছবি।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।