দেশভক্তি নিয়ে তৈরী যেকোনো ছবিই বরাবর আকৃষ্ট করে দর্শকদের। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল জে. পি. দত্ত পরিচালিত ‘বর্ডার’। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ নিয়ে তৈরী এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সানি দেওল। দর্শকমহলে সে ছবি জনপ্রিয় তো হয়েছিল বটেই, বক্সঅফিসেও সাড়া ফেলে দিয়েছিল ‘বর্ডার’।
সাতাশবছর আগে সানি কথা দিয়েছিলেন, তিনি ফিরবেন। সেইমতই, গতকাল, ১৩ই জুন, বৃহস্পতিবার, একটা বড় সুখবর দিলেন অভিনেতা। গতকাল নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘সাতাশবছরের পুরনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে একজন সৈন্য আসছে, আবার।’ ১৯৯৭ সালের ছবি ‘বর্ডার’-এর সিক্যোয়েলের আগমনের ঘোষণা কিছুটা এভাবেই করলেন অভিনেতা সানি দেওল।
‘বর্ডার ২’-কে, যুদ্ধের উপর বানানো ভারতের সবচেয়ে বড় ছবি বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তবে কেবল অভিনেতা সানি দেওলই নন। ‘বর্ডার ২’তে ফিরছেন ’৯৭ সালের ছবির আরো এক স্তম্ভ। ভূষণ কুমার, কৃষান কুমার এবং নিধি দত্তের সঙ্গে এই ছবি প্রযোজনা করছেন স্বয়ং জে. পি. দত্তও। তবে সিক্যোয়েলের ক্ষেত্রে পরিচালনার ব্যাটন রয়েছে অনুরাগ সিংয়ের হাতে। ‘পাঞ্জাব ১৯৮৪’, ‘কেশরী’র মত বেশ কিছু ছবি পরিচালনা করেছেন অনুরাগ। আপাতত ‘বর্ডার ২’ ছাড়াও তাঁর হাতে রয়েছে বরুণ ধাওয়ান এবং পরিণীতি চোপড়া অভিনীত ‘সানকি’র পরিচালনার ভার।
এর আগে সানি জানিয়েছিলেন, ‘বর্ডার ২’ শুরু করার পরিকল্পনা ছিল ২০১৫ সালে। কিন্তু সেই সময়ে, একের পর এক ছবি ফ্লপ হতে থাকে তাঁর। তাই ভয়ে নির্মাতারা হাত দেননি ছবির কাজে। তবে ‘গদর ২’ সফল হওয়ার পরে এই ছবির কাজ শুরু করতে সমস্যা হয়নি। সম্ভবত ২০২৬ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসেই মুক্তি পেতে চলেছে ‘বর্ডার ২’।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।