Zee Bangla Serial Update:শিমুল এবার সত্যের সন্ধানে !

বর্তমানে সাংসারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং গতানুগতিক একইধারার ধারাবাহিক দেখতে অভ্যস্ত দর্শকেরা। তারই মাঝে একেবারে অন্য ধারার এক গল্প বলে জি বাংলার এই ধারাবাহিক। এটি মেয়েদের মনের কথা বলার, বিশেষত একই পাড়ায় বাস করা চার গৃহবধূর সুখ-দুঃখ, হাসি কান্না ভাগ করে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর গল্পই হলো ‘কার কাছে কই মনের কথা’।
ধারাবাহিকে আমরা দেখতে পাই মানালি দে, দ্রোণ মুখার্জী, শ্রীতমা ভট্টাচার্য্য এছাড়াও স্নেহা চ্যাটার্জী, বাসবদত্তা চ্যাটার্জী, রীতা দত্ত চক্রবর্তী-সহ একাধিক দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের।


গল্পের শুরুতে আমরা দেখি, শিমুলকে তার শশুর বাড়ির কেউই পছন্দ করে না, একমাত্র তার ননদ ছাড়া। পরবর্তীতে গল্প এগোলে দেখা যায়, শিমুল শ্বশুরবাড়ির সকলের মন জয় করতে পারলেও তার একমাত্র দেওর পলাশ এবং তার স্ত্রী প্রতীক্ষার মন পায় না। তার শ্বশুরবাড়ির পাড়ায় বেশকিছু গৃহবধূর সঙ্গে শিমুলের বন্ধুত্ব হয়। তারা প্রত্যেকেই শ্বশুরবাড়ির সমস্ত কাজ সামলে একটি সাংস্কৃতিক দল চালায়।


বর্তমানে ধারাবাহিকে বেশ কিছু বড় বড় চমক এসেছে। দুর্ঘটনার পর পরাগ শিমুলকে ভালোবাসতে শুরু করেছে। পরাগের সমস্ত দেখভালের দায়িত্ব শিমূল নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। পরাগ আর কোনোদিনই সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবে না, এটা জানার পরেই সে শিমুলের নামে নিজের চাকরিটি ট্রান্সফার করে দেয়। এর ঠিক পরে পরাগের আবারও একটি দুর্ঘটনা হয় এবং সেখানে সমস্ত স্মৃতি হারিয়ে ফেলে।


শিমুল বর্তমানে একটি স্কুলের টিচার। স্কুলে প্রতিবছরের মত এইবছরও রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে এবং সেখানে শিমুল একজন গুরুত্বপূর্ণ নৃত্যশিক্ষিকা হয়ে প্রতিটা ছাত্রছাত্রীকে নাচ শেখাচ্ছে। এর মাঝেই শিমুলের সাথে ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা। তাকে কেউ খুন করার চেষ্টা করে এবং একজন ব্যক্তি এসে তাকে বাঁচায়। কিন্তু কারা তারা? আসল অপরাধীকে পরাগ চেনে! এরপরই বোঝা যায় তার স্মৃতি হারায়নি। সে স্মৃতি হারানোর অভিনয় করে, কে শিমুলের ক্ষতি চায় তা খুঁজে বের করার জন্য। ইতিমধ্যে শিমুল পুলিশকে নিজের সন্দেহের কথা জানায়। কিন্তু তার মনে একটা প্রশ্ন রয়েই যায়, কে তাকে বাঁচালো!

ঠিক এইসময় শিমুল নিজের ঘরের আলমারি থেকে একটি পুলিশের পোশাক পায়, তার সন্দেহ হয়। রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন শিমুল স্কুলে নৃত্য পরিবেশন করবে, তাই একদিকে সে যেমন খুশি, তেমনি তার মন বেশ ভারাক্রান্ত, কারণ পরাগ অসুস্থ থাকায় সে অনুষ্ঠানটি দেখতে আসতে পারবে না।


কিন্তু পুলিশের ছদ্মবেশে পরাগ স্কুলে আসে তার স্ত্রীর নৃত্য পরিবেশন দেখবার জন্য। সেখানে শিমুল তাকে দেখতে পায় এবং তার সন্দেহ আরো গভীর হয়। তার সন্দেহের তীর পরাগের দিকে যায়, তাহলে কি পরাগ তাকে বাঁচালো, কিন্তু তা কী করে সম্ভব? সত্যিই কি পরাগের স্মৃতি হারানোর অভিনয় এবার ধরে ফেলবে শিমুল?


কোন সত্যের মুখোমুখি হতে চলেছে শিমুল? জানতে দর্শকের অবশ্যই চোখ রাখতে হবে আগামীকাল অর্থাৎ ৩রা মে রাত সাড়ে ৯টায়, ‘কার কাছে কই মনের কথা’ টানটান একঘন্টার মহাপর্ব শুধুমাত্র জি বাংলায়।
শিমুল এবার সত্যের সন্ধানে।

Author

Scroll to Top