দুই বাংলাতেই অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জনপ্রিয়তা প্রায় আকাশছোঁয়া। জনপ্রিয়তার নিরিখে পিছিয়ে নেই পরিচালক সৃজিত মুখার্জীও। দুজনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। এই বাদলাদিনে অন্যরকম একটি পোস্ট করে ফের নেটাগরিকদের নজর কাড়লেন অভিনেতা-পরিচালকদ্বয়।
‘উমা’র মত সামাজিক ছবি হোক, বা ‘দশম অবতার’-এর মত থ্রিলার, সবেতেই নিজের দক্ষতার ছাপ রাখেন সৃজিত মুখার্জী। অন্যদিকে, ‘কারাগার’ থেকে ‘হাওয়া’ – সিরিজ থেকে সিনেমা, সবেতেই নিজের সেরাটা দিয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সম্প্রতি প্রয়াত পরিচালক মৃণাল সেনকে নিয়ে তৈরী সৃজিতের ছবি ‘পদাতিক’-এ মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
তবে অভিনয়শিল্পের মতই, চিত্রশিল্পেও যে তাঁর দক্ষতা তুখোড়, তা কি আর তাঁর ভক্তেরা জানতেন? এই বাদলাদিনের দুপুরে ভক্তদের ‘চঞ্চল’ হয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে সৃজিত মুখার্জীর একটি পোস্ট। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরবেলায় একটি ছবি পোস্ট করেন সৃজিত। ছবিটি আসলে তাঁরই পোর্ট্রেট। অন্যরকম ভঙ্গিমায় তাঁকে কল্পনা করেছেন শিল্পী ছবির নীচে শিল্পীর সইও জ্বলজ্বল করছে দিব্যি।
অবশ্য সৃজিত তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে নামোল্লেখ করে দিয়েছেন শিল্পীর। তিনি লিখেছেন, ‘থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ চঞ্চল ভাই!’ ছবিটির পোস্টে তিনি ট্যাগও করেছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। আসলে, অভিনয়জগতে আসার আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে পড়তেন অভিনেতা। তাই তাঁর আঁকার হাত মন্দ নয় একেবারেই। বরং এতদিন পরেও, আঁকায় যে একইরকম দক্ষতা ধরে রেখেছেন তিনি, এই ছবিই বোধহয় তাঁর প্রমাণ।
ইতিমধ্যেই, প্রশংসাবাক্যে ভরে গিয়েছে পরিচালকের পোস্টের কমেন্ট সেকশন। অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে ‘ট্রু আর্টিস্ট’ বলেও উল্লেখ করেছেন একজন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে দুই বাংলার মিলিত উদ্যোগে তৈরী ‘তুফান’-এর টিজার। সেই টিজারে কয়েকসেকেন্ড সময়ের স্ক্রিনটাইমেও দর্শকদের মন কেড়েছেন চঞ্চল। সৃজিত-চঞ্চলের এই মিষ্টি বন্ধুত্ব যে স্বাভাবিকভাবেই তাদের পছন্দ হবে, এতে কি আর সন্দেহ থাকতে পারে!
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।