তথাগত-বিক্রম জুটির কাজ এর আগেও মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। তাঁদের আগের ছবি ‘পারিয়া’ ছিল পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ছবি। তবে তাঁদের আগামী কাজ কিন্তু একেবারেই ভিন্নস্বাদের। শিকড়ের টান, নাড়ির টান আর বাঙালীর সংস্কৃতিধারণ করার কাহিনী নিয়ে আসছে ‘রাস’।
বছরতিরিশের যুবক সোমনাথ এক মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকুরীরত, কিছুদিনের মধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য তার কানাডা চলে যাওয়ার কথা। তবে তার আগে, ঘটনাচক্রে তাকে আসতে হয় মানিকপুরে, যে মানিকপুর মিশে রয়েছে তার শৈশবে। সেখানকারই এক যৌথ পরিবারে কেটেছিল তার প্রথম বারোবছর। সহজ-সরল, রূপকথার সেই শৈশবের ছন্দ কেটেছিল মায়ের অকালমৃত্যুতে। শহরের হাসপাতালে চিকিৎসা না করানোর ‘ভুল’ সিদ্ধান্তের জন্য পরিবারের মানুষদের ক্ষমা করতে পারেননি তার বাবা। রাসপূর্ণিমার বাদলাদিনকে সাক্ষী রেখে, বাবার হাত ধরে সোমনাথকে ছাড়তে হয়েছিল সবাইকে।
আঠারোবছর পর, প্রযুক্তির হাত ধরে মানিকপুরের অনেককিছুই বদলেছে বটে, তবে বদলায়নি মানুষগুলোর খাঁটি সোনার হৃদয়। দিদামা থেকে ছোটবেলার প্রিয় বন্ধু রাই, বদলায়নি কেউই। বড় সরকারী চাকরির পরীক্ষা পাশ করেও, এই মফস্বলেই থেকে গেছে রাই। এখানকার ছোট্ট প্রাইমারি স্কুলে বাচ্চাদের পড়ায় সে। এই শিকড়ের টান উপেক্ষা করে সোমনাথ কি আদৌ বিদেশে চলে যেতে পারবে? নাকি এদের একজন হয়ে থেকে যাবে এই গ্রামেই? দুটো পরস্পরবিরোধী সময়, মূল্যবোধ, হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা, বাঙালী মনন এই কাহিনীর বীজ।
বিক্রম চ্যাটার্জী, দেবলীনা কুমার, অনসূয়া মজুমদার, অনির্বাণ চক্রবর্তী, রণজয় বিষ্ণু, অর্ণ মুখোপাধ্যায়, সুদীপ মুখার্জী, শংকর দেবনাথসহ একঝাঁক তারকাকে দেখা যেতে চলেছে এই ছবিতে। ছবিটি প্রযোজনা করছে ‘ছবির মতো এন্টারটেইনমেন্ট’ সংস্থা। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অন্তরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তথাগত মুখোপাধ্যায় স্বয়ং। অতিরিক্ত সংলাপ এবং পরিমার্জনার দায়িত্ব ছিল সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর।
‘হারিয়ে যাওয়া বাঙালীদের গল্প’ কতটা সাবলীলভাবে বলতে পারেন তাঁরা, দর্শকদের নজর এখন সেদিকেই।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।