তাঁদের যৌথ উদ্যোগে তৈরী ‘লাপাতা লেডিজ’ সাম্প্রতিককালের জনপ্রিয়তম ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম। শুধু তাই-ই নয়, বিবাহবিচ্ছেদের পরেও বহুলচর্চিত জুটি হিসেবে পরিচিত তাঁরা। তাঁরা আমির খান এবং কিরণ রাও।
ষোল বছরের দাম্পত্যজীবন ছিল তাঁদের। কিন্তু আচমকাই ২০২১ সালে নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানেন আমির-কিরণ। বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন এই দম্পতি। তবে কোনোদিনই পরস্পরের সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক কটু কথা বলতে শোনা যায়নি তাঁদের। বরং প্রাক্তন হওয়ার পরেও তাঁদের মধ্যে দেখা গিয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সম্প্রতি কিরণের ‘লাপাতা লেডিজ’ প্রযোজনাও করেছেন বলিপাড়ার পারফেকশনিস্ট। এত সুন্দর সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বছরতিনেক আগে কেন বিবাহবিচ্ছেদের পথে হেঁটেছিলেন দম্পতি? এতদিন পর এক সাক্ষাৎকারে সেকথা নিজেই জানালেন কিরণ।
তিনি বলেন, ‘বিয়ে যে কীভাবে বিশেষত মেয়েদেরকে দমিয়ে রাখে, সে ব্যাপারে আমরা কথাই বলি না। এই অণুপরিবারের বিষয়টা মেয়েদের জন্য একটা চাপের বিষয়। বিয়ের পরে সকলে মেয়েদের থেকে অনেককিছু আশা করতে শুরু করে দেন। কীভাবে বাড়ীর সব কাজ ঠিকঠাকভাবে চলবে, পরিবারের সকলে একসঙ্গে থাকবে, সেই সব কিছু দেখার দায়িত্ব থাকে কেবল মেয়েদের উপরেই। এমনকি, সকলে আশা করেন, স্বামীর পরিবারের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্বও মেয়েদেরই। এগুলো সত্যিই মাত্রাতিরিক্ত আশা।’
কিরণ জানান, বিবাহবিচ্ছেদকে তিনি ভয় করেন না। বিয়ের পর যদি জুটি হিসেবে, দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে কাজ করা যায়, তাহলে যে এটা একদমই খারাপ নয়, তাও বলেছেন তিনি। তিনি জানান, বিয়ের আগে একবছর তাঁরা একসঙ্গেই ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য, এই বিবাহবিচ্ছেদকে প্রয়োজনীয় বলেই মনে হয়েছিল তাঁর।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।