শিল্পে অবদান, পদ্মভূষণ পেলেন মিঠুন চক্রবর্তী, ঊষা উত্থুপ

এই বাংলায় মিঠুন চক্রবর্তী এবং ঊষা উত্থুপের ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কেবল বাংলা নয়, তাঁদের ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছেন গোটা দেশে। আর সেই ভক্তদের জন্যই এবার এল এক দারুণ সুখবর।

সাধারণতন্ত্র দিবসের আগের রাতেই প্রকাশ করা হয়েছিল পুরস্কারপ্রাপকদের নামের তালিকা। গত সোমবার, ২৪শে এপ্রিল, পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করা হল এই দুই শিল্পীকে। শিল্পে তাঁদের অবদানের জন্যই এই পুরস্কার তাঁদের দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁরা। 

৭৩ বছরে পা দিয়েছেন অভিনেতা, ডান্সার এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মিঠুন চক্রবর্তী। বাংলা এবং হিন্দি ছবির জগতে তাঁর  বিশাল অবদান। একজন ক্লাব ডান্সার থেকে বলিউডের টপ ডান্সার, একটা কঠিন রাস্তা পার করেছেন মিঠুন। তাঁর করা অসংখ্য ছবির মধ্যে প্রথম ছবি “মৃগয়া”। এছাড়াও “ডিস্কো ডান্সার”, “আদমি”, “শেরা”, “শপথ”, “অগ্নিপথ”, “ঘর এক মন্দির”, “তুলকালাম”, “এম. এল. এ. ফাটাকেষ্ট” অমর সৃষ্টি হয়ে রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়েও তিনি একাধিক বাংলা ও হিন্দি ছবিতে কাজ করেছেন। বাংলায় তিনি যেমন “প্রজাপতি”, “কাবুলিওয়ালা”-র মত হিট ছবি দিয়েছেন, হিন্দিতে তিনি হিট ছবি “ কাশ্মীর ফাইলস”-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তার ছবিগুলির জন্য তিনি একাধিকবার পুরস্কৃতও হয়ছেন। কিন্তু এই পুরস্কার তার কাছে একটু বেশিই দামি। তিনি জানান – “আমার চোখে জল, আমার কাজের জন্য আমার দেশ, আমার সরকার আমাকে চিনেছে, এর থেকে বেশি আমি কি চাইতে পারি!”
অন্যদিকে ঊষা উত্থুপ ৭৬ বছরে পা দিয়েছেন। তার গলার জোরে তিনি শুধু বাংলা না, মুম্বই ও পুরো দক্ষিণ ভারত কাঁপিয়েছেন। মিঠুন চক্রবর্তীর মতো তিনিও ক্লাব সিঙ্গার হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু করেন। এখন তিনি সারা ভারতের মানুষের মনে বাস করেন। বিশেষ করে বাংলার মানুষের কাছে তিনি একান্তই আপন। “ হরি ওম হরি”, “দোস্তো সে প্যায়ার কিয়া”, “ডার্লিং”, “রাম্বা হো হো”, “উরি উরি বাবা” তার কিছু অমর সৃষ্টি। আর.  ডি. বর্মন ও বাপ্পি লাহিড়ীর সাথে তিনি অসংখ্য গান আমাদের উপহার দিয়েছেন। পুরস্কার পেয়ে তিনি অনেকটাই আবেগপূর্ণ হয়ে পড়েন। তিনি জানান – “কোন ক্লাসিক্যাল শিল্পীদের জন্য পুরস্কার পাওয়া সহজ হয়, আমি ক্লাসিক্যাল শিল্পী নই, এই পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই খুশি”।

Authors

  • Soumyajit Patra

    বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ইংরাজির পাশাপাশি ভালবাসা রয়েছে বাংলা সাহিত্যের প্রতিও। দেখার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন নাটকে। বিনোদনজগতের বিভিন্ন আকর্ষক বিষয় নিয়ে খবর করেন তিনি।

    View all posts
  • Debasmita Biswas

    বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।

    View all posts
Scroll to Top