সঙ্গীতজগতে বর্তমানে যথেষ্ট জনপ্রিয় তিমির বিশ্বাস। ‘শহরতলির আখড়া’র প্রযোজনায় প্রায়শই তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পায় বিভিন্ন গান। গতকাল সেই চ্যানেলেই মুক্তি পেয়েছে তাঁর গাওয়া গান ‘পরের জ়াগা পরের জ়মিন’।
তিমির বিশ্বাসের গানে সবসময়েই একটা অন্যধরনের ভূমিকা থাকে বাদ্যযন্ত্রের। এই গানের সঙ্গে দোতারা এবং ডুবকিতে গায়ককে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন অমিত শূর এবং অভিরূপ দাস। গানটির সঙ্গীতায়োজনও তাঁদেরই করা।
স্বয়ং গায়কের ভাবনা ও নির্দেশনায় এই মিউজিক ভিডিওটি তৈরী হয়েছে এক অনন্যসুন্দর পদ্ধতিতে। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র তৈরী হওয়ার এই পুরো ভিডিওতেই ছড়িয়ে রয়েছে ‘রিভার্স প্লে’-র খেলা। অপূর্ব সুন্দর বাদ্যযন্ত্রগুলি তৈরী হয় সাধারণত কাঠ দিয়েই। কিন্তু সেই কাঠ আসে কোথা থেকে!
এত শত গাছ নির্বিচারে কেটে ফেলছে মানুষ। সে নিজে তো বটেই, বিপন্ন হচ্ছে অন্য জীবেরাও, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। সবচেয়ে বড় কথা, যে গাছ কাটছে মানুষ, সে গাছের উপর তার অধিকার কতটুকু! সেইস্থানের বাকী প্রাণীদের থেকে একচিলতেও বেশী কি? এই ভাবনাতেই তৈরী হয়েছে এই মিউজিক ভিডিও।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী ছিলেন আবদুল লতিফ। ভাষা আন্দোলনের উপর তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য গান। এই গানটির গীতিকার এবং সুরকারও ছিলেন তিনি। মূল সংস্করণে গানটি গেয়েছিলেন আবদুল আলীম।
সেই অতিপরিচিত, জনপ্রিয় গানের মধ্য দিয়ে যে এত সুন্দর নতুনধরনের এক ভাবনার প্রকাশ করা যায়, তা দেখে একইসঙ্গে অবাক এবং খুশী শ্রোতারা। ইতিমধ্যেই প্রশংসাবাক্যে ভরে গিয়েছে কমেন্ট সেকশন। তীব্র এই গরমে, এই ভিডিও দেখতে দেখতে ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’-এর কথা মনে পড়বে কি মানুষের? নিজের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও কি তারা বন্ধ করবে গাছ কাটার এই নির্লজ্জ মহোৎসব? উত্তর হয়ত দেবে সময়ই।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।