Pherari Mon Update: তুলসীর জীবনে ভোলা-গৌরী, কে এই ভোলা!

বাংলা ধারাবাহিকের জগতে কালার্স বাংলার ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকের অগ্নি-তুলসীর জনপ্রিয়তা একেবারেই কম নয়। তবে অগ্নির মৃত্যুতে দর্শকেরা দুঃখ পেয়েছিল স্বাভাবিকভাবেই। তবে এবার তাদের জন্য আসতে চলেছে এক দুর্দান্ত চমক।

তুলসীর জীবনে আসছে ভোলা আর গৌরী। মেদিনীপুরের গ্রামের মানুষ ভোলা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন! কারণ, দেখতে সে হবহু অগ্নির মতো, তবে আদবকায়দা একদমই ভিন্ন। আদ্যোপান্ত সাদাসিধে, সদাহাস্য, সরল মনের মানুষ সে। তিনকুলে ঠাকুমা ছাড়া আর কেউ নেই। তার খামখেয়ালিপনায় কখনও সে নিজেই সমস্যায় পড়ে, আবার কখনো হাস্যাস্পদ হতে হয় তাকে।

কিন্তু এখন এক নতুন বিপদ এসে দাঁড়িয়েছে ভোলার জীবনে। তার বাপ-ঠাকুর্দার থেকে পাওয়া এক টুকরো জমিটা হয়ত ‘উন্নয়ন’-এর জন্য সরকারকে ছেড়ে দিতে হবে। ঠাকুমার জন্য যে করেই হোক জমি বাঁচাতে হবে। কোনো উপায় না পেয়ে, সে শহরে আসে বড় অফিসারদের কাছে। দুর্ভাগ্যবশত, সেই রাতেই ছিনতাই হয় তার জিনিসপত্র।

অসহায় ভোলা যে মন্দিরে প্রার্থনা করতে যায়, সেই মন্দিরেই দৈবক্রমে হাজির হয় তুলসী। তবে কেবল এটুকুই নয়! আগমন ঘটেছে ভোলার বাগদত্তা গৌরীরও (অভিনেত্রী আঁখি ঘোষ)। মেয়েটি বাইরে থেকে বেশ রুক্ষ এবং কঠিন প্রকৃতির হলেও বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন গৌরী আসলে সহজ, সরল। দোষের মধ্যে ভীষণ মুখরা সে। গৌরী ভোলাকে তার স্বামী মনে করলেও, ভোলা আবার গৌরীকে বেশ ভয় পায়, পারলে এড়িয়ে চলে।

তুলসী-ভোলা-গৌরী, এই তিনজনকে কোনদিকে নিয়ে যাবে ভাগ্য? কেনই বা ভোলাকে হুবহু অগ্নির মত দেখতে! সেটা কি কেবলই কাকতালীয়? কী ঘটবে এবার? তা জানতে দেখতে থাকুন, ‘ফেরারি মন’, প্রতিদিন বিকেল ৬:৩০টায়, কালার্স বাংলায়।

Author

  • Debasmita Biswas

    বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।

    View all posts
Scroll to Top