EntertainmentTV show

স্বপ্নপূরণের সুযোগ মহিলাদের, সফল ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’

বাংলার ঘরে ঘরে রয়েছেন অসংখ্য গুণী নারী। জীবনের কোনোসময়ে হয়ত কত স্বপ্নও বুনেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না। সারাজীবন নিঃশব্দে সংসার করে চলেন সেই মহিলারা। কিন্তু এবার তাঁদের স্বপ্নপূরণের সুযোগ করে দিচ্ছে সান বাংলার নতুন গেম শো ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’।

জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় মাত্র কয়েকদিন আগে সান বাংলায় শুরু হয়েছে নতুন এই গেম শো। কিন্তু এরমধ্যেই ‘মুশকিল আসান’ হয়ে উঠেছে ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’। সারা বাংলার লড়াকু মহিলারা আসছেন এই শো-তে। শোনাচ্ছেন তাঁদের জীবনযুদ্ধের কাহিনী। সুদীপ্তা বলেন, ‘এই শো-টার কনসেপ্টটাই এত ইউনিক, এই শো-এর মাধ্যমে আমি জীবনকে অনেক কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাচ্ছি। এখানে এমন সব মহিলারা খেলতে আসছেন, তাঁদের জীবনযাপন, লড়াইয়ের গল্প শুনে আমার চোখ ভিজে যাচ্ছে। আমার-আপনার কাছে এই এক লাখ টাকাটা কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলতে পারব না, কিন্তু এখানে যাঁরা খেলতে আসছেন, জিতেছেন এক লাখ টাকা, তাঁদের কাছে কিন্তু এই এক লাখ টাকাটা বিরাট ব্যাপার। স্বপ্নপূরণের চাবিকাঠি।’

চার রাউন্ডে খেলা হয় এই শো-তে। প্রত্যেক রাউন্ডেই থাকে টাকা জেতার সুযোগ। লাখ টাকা না জিতলেও, শো থেকে খালি হাতে ফিরবেন না কোনো ‘লক্ষ্মী’ই।

পুরুলিয়া জেলার এক লড়াকু লক্ষ্মী সুনীতা মাহাতো। ‘মাতঙ্গিনী হাজরা মহিলা ছৌ-নৃত্য গোষ্ঠী’ নামে একটি ছৌনাচের দল আছে তাঁর। ছৌ-নাচ মূলত করেন পুরুষরাই, তাই সুনীতার চলার পথ ছিল কাঁটা বিছানো। তা সত্ত্বেও, কোনো বাধাবিপত্তিরই তোয়াক্কা না করে, গ্রামে ঘুরে ঘুরে মেয়েদের বুঝিয়ে নিয়ে এসে তাদের ছৌ-নাচ শিখিয়ে অবশেষে একটা দল তৈরি করেছেন সুনীতা। কিন্তু ছৌ-নাচের কদর যেহেতু এখন কমছে, তাই সারা দেশে শো করার পরও, দল চালানো বেশ কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুনীতা বলেন, ‘লাখ টাকা পেলে দলটা আর একটু ভাল করে তৈরি করব। মুখোশ কিনব, ড্রেস কিনব, দলটা বাড়াব।’

এমনই আরেকজন লক্ষ্মী হলেন মধ্যমগ্রামের মামনি দাস। মামনি বরাবরই পরিশ্রমী। কখনো ফুটপাতে বসে পেন বিক্রি করেন, কখনো বানান কাচের অ্যাকোয়ারিয়াম, বিক্রি করেন হাটে। মেয়েকে ওকালতি পড়ানোর জন্য বাবা-মার দেওয়া সমস্ত সোনার গয়না বন্ধক রেখে একটা অটো কিনেছেন তিনি। অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরীর পাশাপাশি মামনি এখন অটোও চালান। মামনির ইচ্ছে, টাকাটা পেলে সোনার গয়নাগুলো ছাড়িয়ে এনে মেয়েকে ওকালতি পড়াবেন তিনি।

এভাবেই প্রতিদিন বাংলার লড়াকু মহিলাদের স্বপ্নপূরণ করে চলেছে সান বাংলার নতুন শো ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যে ছ’টায় ঘরের লক্ষ্মীদের চোখ থাকে সান বাংলার পর্দায়, ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’-এ।

Author

  • Debasmita Biswas

    বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।

    View all posts

Debasmita Biswas

বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।