দর্শকদের বিনোদন প্রদান করার ক্ষেত্রে “সান বাংলা” কখনোই পিছপা হয়না। নতুনধরনের একাধিক ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকদের মনে এবং ড্রয়িংরুমে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে এই চ্যানেল। আর সেরকমভাবেই একটি পরিবারের গল্প বলবে ধারাবাহিক “বসু পরিবার”।
“বসু পরিবার”- এই নামটির সঙ্গে আমাদের পরিচয় লাভ হয় ২০১৯ সালে সুমন ঘোষের একই নামের একটি বাংলা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। আর ২০২৪ সালে এবার “বসু পরিবার”-এর গল্প আসতে চলেছে ছোটপর্দায়। কিন্তু এই গল্প তথাকথিত ধারাবাহিকের মতো সম্পূর্ণ নারী অথবা পুরুষকেন্দ্রিক নয়। এটি হল একটি সম্পূর্ণ পরিবারের গল্প। যেখানে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে সৌরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে অভিনেত্রী শ্রীমা ভট্টাচার্যকে।
গল্প অনুসারে জানা যাচ্ছে, অবসরপ্রাপ্ত টিচার অঞ্জনবাবু হলেন বসু পরিবারের কর্তা। স্ত্রী মীনাক্ষি, তিন ছেলে এবং দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁর একেবারে ভরা সংসার। ছেলেমেয়েদের বড় করতে তিনি কোনো ত্রুটি রাখেননি। শুধু ছোট ছেলে দীপ্তেশ (সৌরজিৎ ব্যানার্জী) ছাড়া তাঁর ছেলেমেয়েরা সকলেই আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। দীপ্তেশ ছোটখাটো যা কাজ পায়, তাই করে। কিন্তু তার একটি ভালো গুণ হল সে খুব পরোপকারী এবং সেই গুণের জন্য পাড়ার সকলে তাকে ভালোবাসে। সর্বদা পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করে সে। মা বাবাই হল তার সর্বস্ব।
কর্তা গিন্নি দুজনেই বর্তমানে খুব নিশ্চিন্ত কারণ মনের মত করে ছেলেমেয়েদের তাঁরা মানুষ করতে পেরেছেন। বসু পরিবারকে এককথায় সুখী পরিবারের উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে। বড় মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন ধুমধাম করে। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, সুখ আনন্দ সবটাই খুব ক্ষণস্থায়ী, তাঁদের সুখও আর বেশিদিন টিকলো না। যে ছেলেদের ওপর এত ভরসা অঞ্জনবাবুর, পরিবারের একটা দুর্ঘটনায় সেই ছেলের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়ে। সর্বস্ব দিয়ে তাঁরা যে ছেলেমেয়েদের মানুষ করে তুললেন, আজ তারাই বাবা-মায়ের পাশে থাকতে অস্বীকার করছে। কিন্তু সর্বশেষে মা-বাবার পাশে রয়ে গেল তাদের ছোট ছেলে দীপ্তেশ। আর বসু পরিবারের ভাঙ্গন ঠেকাতে সে পাশে পেল প্রাণোচ্ছল, সৎ এক মেয়ে, নীলাকে (শ্রীমা ভট্টাচার্য)। নীলা সবাইকে ভালোবেসে আগলে রাখতে পছন্দ করে। যেটা ভুল সেটাকে ভুল বলার ক্ষমতা রাখে এবং সত্যি কথা বলতে পিছপা হয় না। সে এমন একটি মেয়ে যে তার পরিবারকে ভালো রাখার জন্য যে কোন বাধা-বিপদ থেকে অতিক্রম করে ফেলতে পারে।
এঁরা ছাড়াও এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায়, অনিমেষ ভাদুড়ি, সায়ন্তনী মল্লিক, শ্রীতমা রায়চৌধুরী কৌশিকী গুহ, কৌশিক দাস, দীপ্সিতা মিত্র, রাজর্ষি-সহ আরও অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
শ্রীমা এবং সৌরজিত প্রবলভাবে এই ধারাবাহিক নিয়ে আশাবাদী। এই ধরনের একটা চরিত্র প্রথমবার করতে পেরে শ্রীমা প্রবল ভাবে আপ্লুত। যেখানে তাকে সাইকেল চালানো এবং গুলতি দিয়ে আম পাড়তে পর্যন্ত দেখা যাবে।
SVF Entertainment Pvt. Ltd. প্রযোজিত, সুমালয ভট্টাচার্য পরিচালিত এই ধারাবাহিকের কাহিনী লিখছেন পৌলমী ভৌমিক। সৃজনশীল পরিচালনার দায়িত্বে আছেন অদিতি রায়। সংলাপ লিখছেন সৌম্য পাকড়াশী
খুব শীঘ্রই এমন এক নতুন স্বাদের ধারাবাহিক উপহার পেতে চলেছেন দর্শকরা সান বাংলার তরফ থেকে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক পাশ করার পর থেকেই সাংবাদিকতায় আসার ইচ্ছে আরো প্রবল হয়। কলেজে পড়ার পাশাপাশি অ্যাঙ্করিং এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অ্যাঙ্করিং এর জোর দেওয়া হয়।
বিনোদনের জগতের বিভিন্ন খবর বলার পাশাপাশি ছোটো ছোটো নিবন্ধও লেখেন তিনি।