২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল অঞ্জন দত্তের একটা সিনেমা, ‘ম্যাডলি বাঙালি’। সেই সিনেমায় দেখা গিয়েছিল এক ‘ম্যাডলি’ তরুণীকে, নাম ছিল তানিয়া। মাঝে পেরিয়ে গিয়েছে দেড় দশক। ২০০৯-এর সেই তানিয়া চর্চার শিরোনামে এলেন ফের। কেন!
গতকাল ছিল কান চলচ্চিত্র উৎসবের শেষদিন। আর সেদিনই জানা গেল দারুণ এক সংবাদ। কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করেন বহু ভারতীয় অভিনেতা-অভিনেত্রীই। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। ঐশ্বর্য্য রাই থেকে কিয়ারা আদবানী, শোভিতা ধুলিপালা থেকে উর্বশী রাওতেলা, কানের রেড কার্পেটে হেঁটেছেন সকলেই। কিন্তু একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে, নজির গড়লেন বঙ্গকন্যা অনসূয়া সেনগুপ্ত ওরফে ‘ম্যাডলি…’-র তানিয়া।
কান চলচ্চিত্রে সেরা অভিনেত্রীর শিরোপা এতদিন কোনো ভারতীয়ের মাথায় ওঠেনি। সেই দুঃখ এবার ঘুচল অনসূয়ার হাত ধরে। ‘দ্য শেমলেস’ ছবিতে তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি জিতে নিলেন সেরা অভিনেত্রীর তকমা। ছবিতে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল রেণুকা। একজন পুলিশ অফিসারকে হত্যা করে সে পালিয়ে গিয়েছিল দিল্লীর এক পতিতালয় থেকে।
অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার পর, কান চলচ্চিত্র উৎসবকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন অনসূয়া। লেখেন, ‘এই দিনটা আমি কোনোদিনও ভুলব না।’ তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছবি কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হবে, এই খবর পাওয়ার পরে স্বাভাবিকভাবেই বেজায় খুশী হয়েছিলেন তিনি।
অনসূয়ার এই পুরস্কারপ্রাপ্তির পরে, বহু মানুষ স্মৃতিচারণ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ লিখেছেন, মেয়েটি বাঙালি, কিন্তু টলিপাড়া তাঁকে চিনতে পারেনি। তবে এটা স্পষ্ট, ‘ম্যাডলি বাঙালি’র তানিয়াকে এখনো মন থেকে মুছে ফেলতে পারেননি কেউই।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।