সদ্য বেরিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের ফল। আর তাতে জয়ীও হয়েছেন জনপ্রিয় বলি-অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কিন্তু সে খুশী স্থায়ী হল না একদিনের বেশী। ইতিমধ্যেই ভরা বিমানবন্দরে ঘটে গেল এক চূড়ান্ত অনভিপ্রেত ঘটনা। কিন্তু কোন বিমানবন্দরে, কে হঠাৎ চড় মারলেন অভিনেত্রীকে!
জানা গিয়েছে, আজ দুপুরে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে ঘটেছে এই ঘটনা। দিল্লীগামী বিমানের অপেক্ষায় তখন সেখানে ছিলেন অভিনেত্রী। হঠাৎই সেই বিমানবন্দরেই কর্মরত এক মহিলা সিআইএসএফ জওয়ান এসে সপাটে একটি চড় মারেন তাঁকে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা জওয়ানের নাম কুলবিন্দর কাউর। এই কাজের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই সমাজের সকলস্তরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ঘটনায়। প্রশ্ন উঠছে তারকা সাংসদের নিরাপত্তা নিয়েও।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটালেন কুলবিন্দর! আসলে, বেশ কিছুদিন আগে, দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে হওয়া কৃষক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ছিলেন কঙ্গনা। আন্দোলনরত কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলে চিহ্নিতও করেছিলেন তিনি। এমনকি মতপার্থক্যের কারণে, দিলজিৎ দোসাঞ্জ, রিহানার মত শিল্পীদের সঙ্গে মনোমালিন্যও হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, সেই সময় থেকেই কঙ্গনার বিরুদ্ধে মনে ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন কুলবিন্দর। তাঁর মা-ও কৃষক। তাই আজ বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময়ে, তাঁকে হাতের নাগালে পেয়ে, সে সুযোগ আর হাতছাড়া করেননি তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটাগরিকেরা ভাগ হয়ে গিয়েছে দুইভাগে। একপক্ষ দাবি করেছে, কঙ্গনার অসংবেদনশীল মানসিকতা ও মন্তব্যের বিরুদ্ধে এভাবেই রুখে দাঁড়ানো উচিত সকলের। বিশাল দাদলানির মত বড় মাপের শিল্পীও সমর্থন করেছেন কুলবিন্দরকে। তাঁকে চাকরীও দিতে চেয়েছেন সুরকার। নামকরা এক খবরের চ্যানেলের সাংবাদিকও সাহসিকতার জন্য বাহবা দেন কুলবিন্দরকে। কিন্তু কঙ্গনার ভক্তসহ অনেকেই বলছেন, প্রতিবাদের ভাষা কখনো শারীরিক নির্যাতন হতে পারে না।
এই ঘটনার পরে একটি ভিডিওবার্তায় কঙ্গনা জানান, গায়ে হাত তোলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গালিগালাজও করেছিলেন কুলবিন্দর। এমন আচরণের কারণ জিজ্ঞেস করলে কৃষক আন্দোলনের উল্লেখ করেন তিনি।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।