গান শুনিয়ে বরাবরই মানুষের মন জিতেছেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। এবার একেবারে অন্যধরনের একটা উদ্যোগ নিয়েও জিতলেন সকলের মন। গান গাইতে পারেন, অথচ বিভিন্ন কারণে গান গাওয়ার মঞ্চ খুঁজে পাচ্ছেন না যাঁরা, তাঁদের তুলে আনতেই ইমনের নয়া প্রয়াস ‘নতুন প্রতিভার খোঁজে’।
প্রায় সাড়ে পাঁচশোজন অংশগ্রহণকারীর গান শুনেছিলেন ইমন। তার মধ্যে থেকে ৭৫জনকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। তাদের মধ্যে থেকে ফের বাছাই করা হয়েছিল ‘সেরা ছাব্বিশ’কে। সেদিন বিচারকের আসনে ছিলেন গৌরব, ঈক্ষিতা ও চন্দ্রিকা। গত ২৭শে ফেব্রুয়ারি, দক্ষিণ কলকাতার শরৎ স্মৃতি সদনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বেছে নেওয়া হয়েছে ১০জন অংশগ্রহণকারীকে। তাদের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হবে সেরা তিনজন প্রতিযোগীকে। ইমন ও নীলাঞ্জন ছাড়াও, সেদিন বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবজ্যোতি মিশ্র, আরশাদ আলি খান এবং উপালি চট্টোপাধ্যায়।
কী সুবিধা বা পুরস্কার পেতে চলেছেন সেরা তিনজন সঙ্গীতপ্রতিভা? ইমন জানান, দুটি বড় টেলিভিশন চ্যানেলের গানের রিয়েলিটি শোয়ের ফাইনাল অডিশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে তাদের। এছাড়া তাদের প্রযোজনা সংস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া গানেও শোনা যাবে তাদের কণ্ঠ। এছাড়াও তাদের স্পনসরদের তরফ থেকেও পুরস্কৃত হবেন তারা। তবে কেবলই সেরা তিনজন নয়, ইমন জানিয়েছেন, প্রতিযোগীদের গান শুনতে শুনতে বিচারকদের কেউ কেউ তাদের সঙ্গে কাজ করাও ভেবেছেন। তাই সামগ্রিকভাবেই নতুন প্রতিভাদের মঞ্চ পেতে কিছুটা সুবিধে হবে বলেই মনে করছেন ইমন।
কেবল এপার বাংলাই নয়, ওপার বাংলার মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন তাঁর ডাকে। সাড়া দিয়েছেন বিশেষভাবে সক্ষম মানুষও। সঙ্গীতশিল্পী আরশাদের কথায়, ‘অনেকেই আছে, যাদের হয়ত প্রতিভা আছে, ভাল গান করে, কিন্তু কোথাও জায়গা পায় না। সেজন্য এই মঞ্চটা খুবই জরুরী।’ উপালি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘খুবই ভাল ভাল প্রতিভাদের তুলে এনেছে ইমন। এই প্রচেষ্টাটা প্রতিযোগিতার উর্ধ্বে। কারণ, ইমনের পক্ষ থেকে নতুনদের প্রতি এটা একটা বার্তা।’ দেবজ্যোতি মিশ্রের মতে, ‘ইমন একজন শিল্পী, এবং শিল্পী হয়ে সে এটা করছে। আমি সম্পূর্ণভাবে তার সঙ্গে আছি।’
কেবল তাঁরাই নন, ইমনের সঙ্গে আছেন বাংলার মানুষও। স্বার্থপরতার যুগে তিনি যে নতুন প্রতিভাদের তুলে আনছেন সাগর ছেঁচে, এতেই বাংলার মানুষের মনে তার জায়গা আরো অনেকটাই বেড়ে গেল।