একসঙ্গে দোল-যাপন ‘কোন গোপনে…’, ‘নিম ফুলের মধু’র

দোল উৎসবে কোন গোপনে মন ভেসেছে- নিম ফুলের মধু পরিবারের মেলবন্ধন জমজমাট।

“রাঙিয়ে দিয়ে যাও, যাও যাও গো এবার যাবার আগে” – বসন্তকাল মানে রঙিন হয়ে ওঠার উৎসব। গোটা টলিপাড়া মেতে উঠেছে রংয়ের উৎসবে।

প্রেমের রঙে ,মনের রঙে রঙিন হয়ে উঠতে কে না চায়! ব্যতিক্রমী নয় জি বাংলার বর্তমান দুই ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ এবং ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’।

‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের দত্ত পরিবারে বউ হয়ে আসে পর্ণা। তার শাশুড়ি মা অর্থাৎ সৃজনের মা এর খুবই অপছন্দ। যদিও সৃজন এবং পর্ণার অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ , তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যায় খুব সহজেই।

পর্ণা তার শ্বশুরবাড়ির সবাইকে আপন করে নিতে চাইলেও বিভিন্ন রকম পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয় তাকে। সব বাধা জয় করেও এবং বিভিন্ন বিপদের হাত থেকে শ্বশুরবাড়িকে বাঁচালেও, সে শাশুড়ির মন জয় করতে পারে না।


অন্যদিকে জোড়া পরিবার শ্যামলীর বাড়ি হলেও সে অনিকেতের মনে জায়গা করতে এখানও অক্ষম। সে তিস্তা সেজে গোপনে অনিকেতের মন শ্যামলীর দিকে ভাসানোর পরিকল্পনা করে।

দুই পরিবারই ভালো মন্দের মধ্যেও এই বছর দোল যাত্রায় সামিল হতে প্রস্তুত। কিন্তু দুই পরিবারের এই দোলের আনন্দোৎসবের মধ্যেও রয়েছে এক মহা ধামাকাদার চমক।


একত্রে দোল উদযাপনের জন্য জোড়াপরিবার এসে উপস্থিত হয় দত্তবাড়িতে। এদিকে বাড়িতে এত হৈ হুল্লোড়ের মধ্যেই নেমে আসে এক বিপদের ছায়া। পুরনো শত্রুতার হিসাব মেটাতেই রাঘব গুছাইতের লোক দত্তবাড়ির সোফার নিচে টাইম বোম সেট করে রাখে।

পর্ণা সেখানে গিয়ে বসলে, তাকে ঠেলে সরিয়ে শ্যামলী এসে সেই জায়গায় বসে পড়ে এবং বিপদের হাত থেকে গোটা পরিবারকে বাঁচায়। এরপরে বোম স্কোয়াড এসে বোম উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে।

সবাই যখন দোলের আনন্দে মেতে উঠেছে তখনই শ্যামলী ভাবে সে কি আজ তার মনের মানুষের থেকে আবির মাখার সুযোগ পাবে? কিন্তু অনিকেতকে যে শ্যামলীর কাছাকাছি আসতে গেলে তিস্তার প্রয়োজন। কে হবে এই তিস্তা?

অন্যদিকে, অনিকেতের মা-ও শ্যামলী আর তার ছেলের কাছাকাছি আসাকে আটকানোর জন্য খুঁজতে থাকে তিস্তাকে। পর্ণা সব সমস্যার তুড়ি মেরে সমাধান করে শ্যামলীকে সাহায্য করে এবং সে নিজেই তিস্তা সেজে অনিকেতের সামনে যায়।

এরপর নানান ছলনার মধ্যে শ্যামলী অনিকেতের সামনে আসে। অনিকেত রং মাখানোর সময় শ্যামলী সামনে এলে অনিকেত অপ্রস্তুতে পড়ে যায়।

নানান রকম নাচ গানের মধ্যে দিয়ে আনন্দে সবাই রঙ খেললেও অনিকেত কি রং শ্যামলীর গালে মাখালো অবশেষে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অধরাই।


দুটি ভিন্নস্বাদের পরিবার এক হয়ে নিজেদের একে অপরের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে এবং দোলের অফুরন্ত আনন্দ ভাগ করে নিতে আসছে টানটান দেড় ঘন্টার মহাধামাকাপর্বের মধ্যে দিয়ে, যা অবশ্যই জি বাংলার দর্শকের মন কাড়ার জন্য যথেষ্ট।

Author

Scroll to Top