‘কান’-এর মঞ্চে অ্যাওয়ার্ড ভারতীয় ছবির, গ্র্যান্ড প্রিক্স জিতলেন পায়েল

পায়েল কাপাডিয়া। নাম তো শুনা হি হোগা! প্রথম ভারতীয় পরিচালক হিসেবে সম্প্রতি ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ গ্র্যান্ড প্রিক্স পুরস্কার জিতে নিলেন তিনি। সঙ্গে জিতে নিলেন সমগ্র ভারতবাসীর মন।

গত ১৪ই মে শুরু হয়েছিল ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। শেষ হয়েছে গত ২৫শে মে। বহু ভারতীয় অভিনেত্রীর রেড কার্পেটে হাঁটার খবর ভাইরাল হয়েছিল মুহূর্তে মুহূর্তে। সেসবের মাঝেই আবার ভাইরাল হয়েছিল ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ বঙ্গকন্যা অনসূয়া সেনগুপ্তের খবর। সেরা অভিনেত্রীর অ্যাওয়ার্ড জিতে নজির গড়েছিলেন তিনি। এবার আরো একবার ইতিহাস তৈরীর পালা। ‘কান’-এর মঞ্চে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ পুরস্কার জিতে নিলেন পায়েল কাপাডিয়া।

পুণের ‘ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া’র ছাত্রী পায়েল কাপাডিয়া। বানিয়েছেন ‘আফটারনুন ক্লাউডস’, ‘আ নাইট অফ নোয়িং নাথিং’-এর মত ফিল্ম। ‘কান’-এর মঞ্চে তিনি পুরস্কার জিতেছেন তাঁর পরিচালিত ‘অল উই ইম্যাজিন অ্যাজ লাইট’-এর জন্য। ইতিপূর্বে কোনো মহিলা চলচ্চিত্রকারের ছবি দেখানো হয়নি এই চলচ্চিত্র উৎসবে। তাছাড়াও গত ত্রিশবছরে প্রথমবার কোনো ভারতীয় চলচ্চিত্রকারের ছবি প্রদর্শিত হল চলচ্চিত্র উৎসবে। ২৩শে মে ‘কান’-এর মঞ্চে প্রদর্শিত হয়েছিল ‘অল উই ইম্যাজিন অ্যাজ লাইট’।

পায়েল FTII-তে পড়াকালীন সেই প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহান। কিন্তু অভিনেতার নিয়োগ নিয়ে বিক্ষোভ জানিয়েছিলেন পায়েলরা। অভিনেতা পদত্যাগ করেছিলেন বটে, তবে খেসারত দিতে হয়েছিল বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদেরকেও। সেই বিদ্রোহী পড়ুয়া অ্যাওয়ার্ড জেতায় স্বাভাবিকভাবেই খুশীর পরিমাণ যেন আরো একটু বেশী ভারতবাসীর!

Author

  • Debasmita Biswas

    বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।

    View all posts
Scroll to Top