Trina Saha: বিনা নোটিশে ৫ ঘন্টা অপেক্ষা? বিমান সংস্থার চরম অব্যবস্থার ছবি তুলে ধরলেন তৃণা সাহা
কর্মসূত্রে প্রায়শই বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। আর সাধারণ মানুষদের মতই প্রায়শই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয় তাঁদের। সম্প্রতি নিজের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমান পরিষেবা সংস্থার একজন কর্মীর সঙ্গে ক্রমাগত তর্কবিতর্ক চলছে যাত্রীদের। ভিডিওটি পোস্ট করে একটি বড় ক্যাপশনও দিয়েছেন অভিনেত্রী।
সেই ক্যাপশন থেকে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি কর্মসূত্রে থাইল্যান্ড যাওয়ার প্রয়োজন ছিল অভিনেত্রীর। সেই সফরেই তাঁদের বিনা নোটিশে ঘন্টাপাঁচেক অপেক্ষা করায় ‘SpiceJet’ নামে ওই বেসরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা। কেবল অপেক্ষা করানোই নয়, এই ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে সামান্যতম ক্ষমাও চাওয়া হয়নি বলে সেই পোস্টে জানিয়েছেন তৃণা। জানিয়েছেন, কেউ কেউ তাঁদের কাছে জল চাইলে সেটুকু পরিষেবাও পাওয়া যায়নি সংস্থার তরফ থেকে। যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল যাঁর উপর, সেই অজয় সিং, যাত্রীদের অসুবিধার বিন্দুমাত্র পরোয়া করেননি বলে লিখেছেন অভিনেত্রী।
এপ্রসঙ্গে 71/1MB-র তরফ থেকে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ফ্লাইট ছিল রাত বারোটা পাঁচে। কিন্তু সংস্থার তরফ থেকে তাঁকে মেসেজ করে জানানো হয়, দু’ঘন্টা দেরীতে অর্থাৎ রাত দুটোয় ছাড়বে বিমান। কিন্তু সেই সময়ে অনুযায়ী পৌঁছে তাঁরা জানতে পারেন, তখনো বিমানবন্দরে এসেই পৌঁছয়নি সেই ফ্লাইট। প্রায় আড়াইঘন্টা দেরীতে রানওয়েতে ঢোকে ফ্লাইট। কিন্তু সমস্যা শেষ হয়নি এখানেই। তিনটের সময়, সাড়ে তিনটের সময় বিমান ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বারবারই নিরাশ করেছেন তাঁরা। ভোর চারটে নাগাদ তাঁদের জানানো হয়, কুয়াশা থাকার কারণে ফ্লাইট ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ তার আগেই অন্যান্য সংস্থার বেশকিছু বিমান ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তৃণা।
এমনকি বিমান ছাড়ার সময় নিয়ে কোনো তথ্যই ‘SpiceJet’ অফিসিয়ালি প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ তাঁর। জানিয়েছেন, যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করার পর, সাড়ে পাঁচটার সময় বিমান ছাড়েন কর্তৃপক্ষ।
তাঁর পোস্টের কমেন্ট সেকশনে অনেকেই লিখেছেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। একজন জানান, একবার সাতঘন্টাও অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁকে।
একই বয়ান শোনা গেছে স্টাইলিস্ট নীল সাহার গলাতেও। সাম্প্রতিক ভিডিওতে তিনি জানান, রাত ন’টায় ফ্লাইট ছাড়ার কথা থাকলেও বিমান ছাড়েনি ভোর ছটার সময়েও। ক্ষুব্ধ নীল তাঁর ভিডিওতে বলেন, ‘পরিষেবা না দিতে পারলে সংস্থা বন্ধ করে দেওয়া উচিত এই সংস্থার।’ দর্শকদের উদ্দেশ্যে এই সংস্থা বয়কটের ডাকও দিয়েছেন তিনি।