পুরুষোত্তম সিংহর বিরুদ্ধে গিয়ে অষ্টমী ইরাবতীর পাশে দাঁড়াল!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অষ্টমী’, যেখানে দর্শক এক ভিন্নস্বাদের গল্পে দেখতে পান। অষ্টমী ধারাবাহিকের প্রধান আকর্ষণ বলা যেতে পারে নবগ্রামের স্থানীয় দেবী বৌরানি। তাঁর পূজা করতে দেখা যায় ঠাকুরকে। অভিনেতা কৌশিক চক্রবর্তীকে আমরা দেখতে পাই লালশাড়িতে, একেবারে অন্যভাবে, গ্রামের প্রধান পুরুষোত্তম সিংহ তথা ঠাকুর হিসাবে। গ্রামের সকলেই তাকে দিনের আলোর মত সত্যি মনে করেন এবং মেনে চলেন। এই সুযোগে ঠাকুর নিজের খুশিমত শোষণ চালিয়ে যায়। অপরদিকে আমরা মুখ্য চরিত্র হিসাবে দেখতে পাই, নবাগতা অভিনেত্রী ঋতব্রতা এবং অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিককে।
অন্যদিকে শহর থেকে আসা শিক্ষিতা তরুণী অষ্টমী নবগ্রামের স্কুলশিক্ষিকা হয়ে আসে এবং পুরুষোত্তমের ভণ্ডামি তাকে বেশ অবাক করে তোলে। ঘটনাচক্রে পুরুষোত্তম বুদ্ধিমতী অষ্টমীকে গ্রামছাড়া করার বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করেন এবং ব্যর্থ হন।
অবশেষে মন্ত্রীর আদেশে সে নিজের বাড়িতে অষ্টমীকে আশ্রয় দিলেও আমরা দেখতে পাই, তাকে বৌরানীর গয়নাচুরির মিথ্যা অপবাদে ফাঁসিয়ে গ্রামছাড়া করার পরিকল্পনা করে। ভাগ্যবশত সে বেঁচে যায় পুরুষোত্তমর ছেলে আয়ুষ্মান এবং মেয়ে ইরাবতীর সাহায্যে। ইরা সমস্ত অপরাধ নিজের উপর তুলে অষ্টমীকে নির্দোষ প্রমাণিত করে এবং গ্রামবাসীর কাছে ঠাকুরের কথা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়, ঠাকুরের কাছে অত্যন্ত অসম্মানজনক।
পুরুষোত্তম সিংহের কথা অমান্য করা সিংহপরিবারে একটি ঘোর অপরাধরূপে গণিত হয়। ইরাবতীর এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে ঠাকুর তাকে চরম শাস্তি দেবার সিদ্ধান্ত নিলে অষ্টমী তাকে বাঁচানোর জন্য অপ্রাণ চেষ্টা করে। সে ইরাকে তার বাবামায়ের সাথে নবগ্রাম থেকে অনেক দূরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে সে পরিবারের সকলের নজর এড়িয়ে ইরাকে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে আসে।
অষ্টমী কি পারবে ইরাবতীকে পুরুষোত্তমের কঠিন সাজা থেকে বাঁচাতে? নাকি এরপর আর কঠিন কিছু পরিণতি অপেক্ষা করছে ইরা এবং অষ্টমীর ভাগ্যে? সমস্ত ঘটনার কীভাবে নিষ্পত্তি ঘটবে, তা জানতে অবশ্যই চোখ রাখতে হবে ‘অষ্টমী’ ধারাবাহিকে, ঠিক বিকেল সাড়ে ছ’টায় শুধুমাত্র জি বাংলায়।