প্রায় দু’বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’। মুক্তির আগে থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সেই বিতর্কের কি অবসান হতে চলেছে অবশেষে?
চলচ্চিত্রপ্রেমীদের অন্তরের ভালবাসার জায়গা ‘নন্দন’ প্রেক্ষাগৃহ। সরকারি এই প্রেক্ষাগৃহে পছন্দের ছবি দেখতে আসেন অসংখ্য মানুষ। ‘নন্দন’-এর নামকরণ করেছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায়। নামের ক্যালিগ্রাফিতেও ছিল তাঁরই হাতের ছোঁয়া। অথচ সেই মানুষটিকে নিয়েই তৈরী চলচ্চিত্র ‘অপরাজিত’-র ঠাঁই মেলেনি ‘নন্দন’-এ। বহু দর্শকই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এই ঘটনার। উঠে এসেছিল রাজনৈতিক বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিও।
কিন্তু এত বাদ-প্রতিবাদ সত্ত্বেও, নন্দনে দেখানো হয়নি এই ছবি। তাহলে হঠাৎ কী এমন ঘটল, যে এতদিন পর, এই ছবি দেখানো হবে নন্দনে? জানা গিয়েছে, নন্দনে একটি চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ইন্ডিয়া (FFSI)। নানা ভাষার মোট ছ’টি ছবি দেখানো হবে এই চলচ্চিত্র উৎসবে। তার মধ্যেই একটি হল ‘অপরাজিত’। চলতি মাসের ২৪ তারিখ, নন্দন ৩-এ বিকেল ৫টায় দেখানো হবে এই ছবি।
এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশী হয়েছেন দর্শকবৃন্দ। নন্দনের পর্দায় এ ছবি দেখতে যারপরনাই আগ্রহী তাঁরা। মুক্তির পরে সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল এই ছবি। পর্দার সত্যজিৎ ওরফে অপরাজিত রায়ের চরিত্রে ছিলেন জিতু কমল। তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে ছিলেন সায়নী ঘোষ।
যথেষ্ট সমর্থন এবং টাকাপয়সার অভাব থাকা সত্ত্বেও, সত্যজিৎ রায় সামান্য লোকবল এবং অসামান্য মনোবলের জোরে কেমন করে বানিয়েছিলেন ‘পথের পাঁচালী’র মত এক কালজয়ী ছবি, তারই গল্প বলে এই ছবি। এর আগে না দেখে থাকলে, এই সুযোগে অনায়াসে দেখে নিতেই পারেন ‘অপরাজিত’।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।