কনস্টেবল মঞ্জু ধারাবাহিকটি খুব কম দিনেই দর্শকদের খুব কাছের হয়ে ওঠে। এখানে আমরা কনস্টেবল মঞ্জুর চরিত্রে আমরা অভিনয় করতে দেখতে পাই দিয়া বসুকে।
মঞ্জু একটি গ্রামের মেয়ে। খুব সাধারণ পরিবার তার। মঞ্জু তার পিসি এবং দাদার সঙ্গে থাকে। গল্পে আমরা পিসির ভূমিকায় দেখতে পাই পিংকি ব্যানার্জীকে। সে সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে থাকতে খুব পছন্দ করে। অন্যদিকে দেখা যায়, গল্পের নায়ক শুভজিৎ সাহা ওরফে অর্জুন একজন গুণ্ডা। সে গ্রামের পার্টির হয়ে কুকাজ করে। কিন্তু মন থেকে অর্জুন অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ এবং সে মঞ্জুর ছোটবেলার বন্ধু।
মঞ্জুর সব কাজে তাকে উৎসাহ জোগায় সে। মঞ্জু খুব ভীতু ধরনের মেয়ে। সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করলেও, সে একজন কনস্টেবল। তার বাবা ছিলেন একজন খুব সাহসী এবং সৎ কনস্টেবল। তিনি নিজের দায়িত্বপালনের সময়ে নিজের প্রাণ হারান। মঞ্জু তার বাবার চাকরিটি পায়। সে রসুলপুর থানার কনস্টেবল হয়ে জয়েন করে। সেখানেও তাকে হাসির খোরাক বানানো হয়।অর্জুন তার কাজকে সম্পূর্ণ সমর্থন করলেও নিজের রাস্তা অর্থাৎ গুন্ডামী থেকে সরে না।
এবার গল্পে আসতে চলেছে নতুন মোড়। মঞ্জুর থানায় এবার নতুন কেস নিখোঁজ একটি মেয়ের। মেয়েটির কেসের তদন্তে নেমে মঞ্জু জানতে পারে, বর্তমানে তাদের গ্রামের প্রার্থী তুষার রক্ষিত এই ঘটনার সথে জড়িত। শুধু তাই না এছড়াও আরো অনেক কুকীর্তির কথা জানতে পারে সে। মঞ্জুর সাহস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে তুষার রক্ষিত তার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং তার বাবার শেষ স্মৃতি পৈতৃক বাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে মঞ্জুর পরিবারকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। কিন্তু অর্জুন এখানে মঞ্জু র পাশে না দাঁড়িয়ে পূর্ণ সমর্থন করছে তুষার রক্ষিতকে।
ঘটনাচক্রে অর্জুন মঞ্জুকে বিয়ে করে নেয়, কিন্তু সে মন থেকে এই বিয়েটি মেনে নিতে পারছে না। কারণ সে মনপ্রাণ দিয়ে গ্রামের জমিদারের মেয়ে নন্দিনীকে ভালবাসে। অপরদিকে মঞ্জু একজন সৎ কনস্টেবল, সে গুণ্ডা অর্জুনকে কিভাবে মেনে নেবে নিজের স্বামী হিসাবে!
মঞ্জু কিভাবে সামলাবে নিজের জীবনের একের পর এক ঝড়? মঞ্জু ও অর্জুনের বৈবাহিক সম্পর্কের কী হবে? অর্জুন, একজন অপরাধী এবং মঞ্জু একজন কনস্টেবল, তাদের জন্য ভাগ্য কী ঠিক করে রেখেছে? পরিস্থিতি যখন তাকে অর্জুনকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য করবে, তখনই বা মঞ্জু কী করবে? মঞ্জু কি কখনও আত্মবিশ্বাসী আইপিএস হতে পারবে? সবটা জানতে অব্যশই চোখ রাখতে হবে সান বাংলার পর্দায়, আগামী 20থেকে 26শে এপ্রিল, ‘কনস্টেবল মঞ্জু’ মহাসপ্তাহ ঠিক রাত ৮:৩০।