ধর্মেন্দ্র আর হেমা মালিনীর জুটি এখনো পর্যন্ত সুপার-ডুপার হিট। কিন্তু সেই জুটিকেই একেবারে অন্যরকমভাবে পর্দায় তুলে আনছেন পরিচালক পারমিতা মুন্সী। তাঁর নতুন ছবি ‘হেমামালিনী’ দিয়ে চলেছে একের পর এক চমক।
ছবির নাম ‘হেমামালিনী’। ছবির মুখ্য দুই চরিত্রের একজনের নাম ধর্মেন্দ্র হলে আরেকজনের নাম মানিক। সব গুলিয়ে যাচ্ছে? স্বাভাবিক। আচ্ছা, একটু গুছিয়েই বলি তবে! হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ধর্মেন্দ্র আর ‘মিথ্যে’ হেমামালিনীর অন্যরকম ভালোবাসার গল্প দেখানো হবে এই ছবিতে।
সেই সঙ্গে দেখানো হবে পরিচালক মানিক মুখোপাধ্যায়কেও। ধর্মেন্দ্রর চরিত্রে যে দেখা যাবে অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীকে, তা আগেই জানিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু পরিচালক মানিকদার চরিত্রের অভিনেতার নাম জানা গেল সম্প্রতিই।
জানা গেল, অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করছেন এক স্বাধীন পরিচালক মানিক মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রে। ‘হেমামালিনী’ নামের এক ফিচার ফিল্ম করতে চান তিনি। দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগা এই পরিচালক সিনেমা তৈরীর সময়ে শরণাপন্ন হন এক আধুনিক জ্যোতিষশাস্ত্রে পারদর্শী এক তরুণীর। জ্যোতিষী তরুণীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন প্রবাসী বাঙালি অভিনেত্রী রোশনি দত্ত। রাহুল-রোশনির এক মিষ্টি রসায়ন পর্দায় দেখবেন দর্শক। পরিচালক জানিয়েছেন, ‘মানিকের চরিত্রের জন্য আমার এমন কাউকে দরকার ছিল, যার চোখ সময়বদলের স্বপ্ন দেখে। রাহুলের সেই চোখদুটো আছে।’
এর আগে 71/1 MB-কে পরিচালক পারমিতা মুন্সী বলেছিলেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষ যত নিঃসঙ্গ হয়ে যাচ্ছে, সম্পর্কের বাঁধনগুলো আলগা হয়ে যাচ্ছে, ততই যেন মানুষ নিজেকে সেরা ভাবতে চাইছে। তাছাড়া সে চাইছে একটা কিছু মিরাক্ল ঘটুক, যেটা বদলে দেবে সবকিছু। এটা কিন্তু কোনো বায়োপিক নয়, হেমা মালিনী একটা কনসেপ্ট। এই আত্মপ্রতারণার নাম হেমা মালিনী, যা কিছু অপ্রাপনীয়, তাকে পেতে চাওয়ার অস্থিরতার নাম হেমা মালিনী।’
এই ছবিতে চিরঞ্জিৎ-রাহুল-রোশনি ছাড়াও দেখা মিলবে চৈতী ঘোষালের, তবে তাঁর চরিত্রটি এখনো রহস্যে মুড়ে রেখেছেন পরিচালক। একজন বার-সিঙ্গার ও ডান্সারের চরিত্রে অভিনয় করছেন দেবলীনা দত্ত। অন্যান্য চরিত্রে আছেন কাঞ্চনা মৈত্র, পাপিয়া অধিকারী, পাপিয়া রাও, ভাস্বর চ্যাটার্জি, ও মুম্বাই প্রবাসী হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পিয়ালী মুন্সী।
ছবির ক্যামেরার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন জয়দীপ বসু, শিল্প নির্দেশনার দায়িত্বে আছেন সুদীপ ভট্টাচার্য্য, সৃজনশীল পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে সুভদ্র চৌধুরীর কাঁধে। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা এবং সম্পাদনার দায়িত্ব থাকছে যথাক্রমে মেঘ ব্যানার্জী এবং অমিত রায়ের ওপর। পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ এবং গানগুলিও নিজেই লিখেছেন পারমিতা মুন্সী।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।