Entertainment

Hoichoi: পর্দায় ফিরছে পার্থ দে, ডকু-সিরিজের হাত ধরে

আচ্ছা, রবিনসন স্ট্রীটের কথা মনে আছে? ২০১৫ সালে হঠাৎই একদিন খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল সেখানকার একটি বাড়ী। গোটা রাজ্য সাক্ষী হয়েছিল এক রক্ত-জল করা নৃশংসতার। এবার সেই ঘটনার সত্যি-মিথ্যের খোঁজ নিয়ে আসছে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘রবিনসন স্ট্রীট: মিথ অর রিয়েলিটি’।

বছরনয়েক আগে, বাংলার বুকে আতঙ্ক জাগিয়েছিল একটা নাম। পার্থ দে। তাঁর বাড়ী থেকে উদ্ধার হয়েছিল তিনটি কঙ্কাল। একটি তাঁর দিদি দেবযানী দে-র, এবং বাকি দুটি তাঁর দুই পোষা ল্যাব্রাডর প্রজাতির কুকুর রিকি ও টেরির।

প্রায় ছ’মাস যাবৎ সেই তিন কঙ্কালের সঙ্গে সহাবস্থান করছিলেন বছর সাতচল্লিশের পার্থ দে। যিনি পেশায় ছিলেন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

তাঁদের রবিনসন স্ট্রীটের বাড়ীর বাথরুমে ঢুকে, গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন পার্থ দে-র বাবা অরবিন্দ দে। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করতে ঢুকেই সেই কঙ্কাল তিনটি উদ্ধার করে পুলিশ। পার্থ দে-র এধরনের মানসিক রোগের কথা জানার পরেই, তাঁকে নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। ছড়ায় সত্যি-মিথ্যে মেশানো এক গল্প।

কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের এই ডকু-সিরিজে দেখানো হবে পার্থ দে-র জীবনের অকল্পনীয় অথচ বাস্তব গল্প। যে ঘটনায় নড়ে গিয়েছিল সমগ্র বাঙালি জাতি, সেই ঘটনার পিছনের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিবরণ থাকবে এই সিরিজে। পার্থ দে-র জীবনের বিভিন্ন ঘটনা এবং তাঁর শৈশব, কৈশোর, কর্মজীবন – সবের গল্পই থাকবে এতে। আর এই সবকিছু ঘিরে থাকবে সত্য, বাস্তব। জানা গিয়েছে, পার্থ দে-র চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলবেন লোকনাথ দে।

এর আগেই বিভিন্ন সত্য অথচ আশ্চর্যজনক ঘটনা নিয়ে তৈরী হয়েছে ডকু-সিরিজ। রহস্যপ্রিয় বাঙালির জীবনে এই রবিনসন স্ট্রীটের ঘটনা ছিল এক ‘হরর স্টোরি’। তবে সেই ঘটনার পিছনে লুকিয়ে থাকা মনস্তত্ত্বের স্বাদ পেতে বাঙালি যে ফের ডকু-সিরিজমুখী হবে, তা বলাই বাহুল্য।

Author

  • Debasmita Biswas

    বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।

    View all posts

Debasmita Biswas

বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।