প্রাকাশ হল কল্কি ২৮৯৮ এ ডি ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের চরিত্র অশ্বত্থামার একটি ছোট্ট ঝলক। নির্দেশক নাগ অশ্বিনের বহুপ্রতীক্ষিত একটি কাজ এই ছবি। ছবিটি একটি ডিস্টোপিয়ান ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর তৈরি যেখানে ২৮৯৮ সালের ভবিষ্যতকে তুলে ধরা হবে। ছবিটি কল্পবিজ্ঞান ও পুরাণের ওপর ভিত্তি করে এগোবে। ছবির হিরো প্রভাস, তাকে দেখা যাবে ভৈরবার ভূমিকায়। সঙ্গে আছেন দীপিকা পাডুকোন, ভিলেনের ভূমিকায় থাকবেন কমল হাসান, সম্ভবত কলির চরিত্রে। প্যান ইন্ডিয়া লেভেলের ছবি হতে চলেছে কল্কি। বাংলা থেকে থাকছেন শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়।
ছবিটি নিয়ে দর্শকমহলে উত্তেজনা তুঙ্গে। ছবির নির্মাতারাও সেই উত্তেজনা বজায় রাখার কোন চেষ্টা ছাড়েননি। ছবির প্রচারে অসাধারণ মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করা হচ্ছে বিগত কয়েকমাস ধরে। তা সে সান ডিয়াগো কমিকন (আমেরিকা) -তে গিয়ে ছবির ঝলক প্রকাশ করেই হোক, বা দীপিকা, প্রভাস, অমিতাভের জন্মদিনে তাদের চরিত্রগুলোর নাম, পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়াই হোক।
ছবিটি তৈরি করতে আনুমানিক খরচ প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। প্রথম পোস্টারের গুণগত মান নিয়ে অনেক নেতিবাচক সমালোচনা পেতে হয়েছিল নির্মাতাদের। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা ভুল সংশোধন করে নতুন পোস্টার রিলিজ করেন। দর্শকদের পুনরায় ৬০০ কোটি টাকায় নির্মিত প্রভাসেরই আদিপুরুষ ছবির বিভীষিকার কথা মনে পড়ে যায়।
কিন্তু এক্ষেত্রে ছবির গ্লিম্পস লঞ্চের মাধ্যমে দর্শকদের মনে ভরসা জুগিয়েছিলেন নির্দেশক নাগ অশ্বিন ও দল। নতুন করে গতকাল (২১শে এপ্রিল) অশ্বত্থামার গ্লিম্পস লঞ্চের মাধ্যমে সেই ভরসা আরো দৃঢ় হয়েছে বলা চলে। ছবির ভিজ্যুয়াল এফেক্টের মান দেখে বেশ সন্তুষ্ট সমলোচকরা।
ছবিটির আরও একটি বিশেষত্ব রয়েছে। তা হল, একাধিক ভারতীয় ভাষার একসাথে প্রয়োগ, সেটা প্রথম থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল যখন ছবির নাম প্রতিটা ভাষায় দেখানো হয়। কাল তা সুস্পষ্ট হয়ে যায়, যখন একই দৃশ্যে আমরা একাধিক ভাষার প্রয়োগ দেখতে পাই।
ভারতীয় ছবির ইতিহাসে এই ছবি এক মাইলফলক স্থাপন করতে চলেছে এরকম আশা রাখা যেতেই পারে। গতানুগতিক দেশাত্মবোধক ও মাস-মশলা এন্টারটেনমেন্ট ছাড়াও যে ভারতীয় সিনেমা অন্য কিছু ভিন্নধর্মী কাজ করে দেখাতে পারে, তা বিশ্বদরবারে প্রমাণ করা বিশেষ জরুরি। এর আগে ‘রা – ওয়ান’, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, ‘মিন্নাল মুরলী’, ‘মর্দ কো দর্দ নেহি হোতা’-র মত ছবি গুলি কল্পবিজ্ঞান, পূরণ, ভিজুয়াল ইফেক্টের ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রমী কিছু করার চেষ্টা করেছে তো বটে, কিন্তু আশানরূপ বক্স অফিস সফলতা পায়নি। সিনেমাপ্রেমীরা আশাবাদী, যে এই ছবি বক্স অফিসে দারুন ফল করলে ভবিষ্যতে প্রযোজকরা এই জনরার সিনেমাগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করতে সাহস পাবে, এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি এই জনরার ছবি দেখা যাবে।
ছবিটির প্রথম রিলিজ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালে। সেখান থেকে পিছিয়ে মে, ২০২৪ সাল করা হয়, এখন ছবিটি জুনের প্রথম সপ্তাহে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন শুধু পরবর্তী প্রমোশনাল গ্লিম্পস এবং ট্রেলারের অপেক্ষা।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ইংরাজির পাশাপাশি ভালবাসা রয়েছে বাংলা সাহিত্যের প্রতিও। দেখার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন নাটকে। বিনোদনজগতের বিভিন্ন আকর্ষক বিষয় নিয়ে খবর করেন তিনি।