‘কে ড্রামা’ হোক বা গানের ব্যান্ড ‘বিটিএস’, নতুন প্রজন্মের বাঙালিদের মধ্যে একটা প্রচ্ছন্ন কোরিয়া-প্রেম লক্ষ্য করা যায় ইদানীং। কিন্তু জানেন কি, সুদূর কোরিয়ায় বসে এক কোরিয়ান কন্যে ভালবেসেছেন খোদ বঙ্গকেই!
ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা লক্ষাধিক। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘Dasom Her’। অনেকেই তাঁকে চেনেন লুনা নামে। কিন্তু এমন কী কান্ড ঘটালেন তিনি, যাতে চমকে গেল আপামর বাঙালি! আসলে, রবীন্দ্রজয়ন্তীর মরশুমে নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন লুনা। তাতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু মানুষ ‘ফুলে ফুলে…’ রবীন্দ্রসঙ্গীতটি গাইছেন।
অবশ্য ঘটনা এত অবধি হলে চমকের কিছুই ছিল না। কিন্তু ঘটনার শেষ এখানে নয়। আসলে যে দলটি রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইছিলেন, ‘গ্রানাডা’ নামের সেই দলের সদস্যরা কেউই বাঙালি নন। তাঁরা সকলেই কোরিয়ান। লুনা পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘What a happy surprise! কী সুন্দর করে গাইলো!’
সত্যিই তাঁদের গাওয়া সেই রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে বেশ লেগেছে শ্রোতাদের। আর তারপরেই লুনার পোস্টের কমেন্ট সেকশন ভরে উঠেছে প্রশংসাবাক্যে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেই লুনা নিজে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন একাধিকবার। তিনি নিজে স্পষ্ট উচ্চারণে বাংলা বলতে পারেন। এর আগেও নববর্ষে, ‘আজ যানে কি জিদ না করো’ গানে তাঁর নৃত্যভঙ্গিমা মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের।
এক ভুটানি ব্যক্তির সঙ্গে বাংলায় কথা বলে লুনা ভাইরাল হয়েছিলেন গতবছরও। এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাকে ভালবাসার পিছনে তাঁর মায়ের প্রভাব অনেকখানি। রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বাংলার স্থান ছিল তাঁর মায়ের হৃদয়ে।
‘গ্রানাডা’র এই দুর্দান্ত প্রয়াসকে তুলে ধরে ফের একবার মন কাড়লেন লুনা। সুদূর কোরিয়ায় বসে যাঁরা রবীন্দ্রসঙ্গীতকে ভালবেসে পরিবেশন করেছেন সকলের সামনে, সেই দলের সদস্যরাও ভালবাসা কুড়িয়েছেন অফুরন্ত।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।