ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক বলা হয় যাঁকে, গত ৩০শে এপ্রিল ছিল সেই দাদাসাহেব ফালকের জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যেই অনুষ্ঠিত হল ১৪তম দাদা সাহেব ফালকে চলচ্চিত্র উৎসব। আর এই উৎসবেই মিথিলার মুকুটে জুড়ল নতুন পালক।
রাফিয়াদ রশিদ মিথিলা। মূলত বাংলাদেশের অভিনেত্রী হলেও, এপার বাংলাতেও তাঁর জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ছোটগল্প ‘অভাগীর স্বর্গ’ অবলম্বনে সম্প্রতি ‘ও অভাগী’ নামে একটি চলচ্চিত্র বানিয়েছেন পরিচালক অনির্বাণ চক্রবর্তী। ছবির মুখ্য চরিত্র অভাগীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল মিথিলাকে। দর্শকেরা জানেন, সেই ছবিতে নিজের হৃদয় নিংড়ে আবেগ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাই পরিশ্রমের ফল যে মিষ্টি হবে, তা আর আশ্চর্য্য কী!
‘ও অভাগী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ১৪তম দাদা সাহেব ফালকে চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন মিথিলা। অভিনেত্রী একটি ভিডিওতে নিজেই জানিয়েছেন সেই খবর। ছবির পরিচালক, প্রযোজক এবং গোটা টিমকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এই ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন পরিচালক অনির্বাণ স্বয়ং। অভাগীর ছেলে কাঙালীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সৌরভ হালদার। এছাড়াও, সুব্রত দত্ত, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়, ঈশান মজুমদার, সায়ন ঘোষ, জিনিয়া পাণ্ডে, কৃষ্ণ ব্যানার্জীকে দেখা গিয়েছিল এই ছবিতে। ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
পরিচালক বলেছিলেন, মূল গল্পের নির্যাসটা নষ্ট না করে, নতুনধরনের কিছু বানাতে চেয়েছিলেন তাঁরা। সতী হওয়ার বাসনা আর সমাজের জাতিভেদের এক অসম যুদ্ধ ফুটে উঠেছিল ‘স্বভূমি এন্টারটেইনমেন্ট’ নিবেদিত, প্রবীর ভৌমিক প্রযোজিত এই ছবিতে।
সাতের দশকের গ্রাম-বাংলায় স্বামী-পরিত্যক্তা অভাগীর দুঃখ, অভিমান, দারিদ্র্য, সংগ্রাম, সবটাই নিজের মধ্যে ধারণ করেছিলেন রাফিয়াদ রশিদ মিথিলা। তাই স্বাভাবিকভাবেই, তাঁর এই সাফল্য গোটা টিমের সঙ্গে সঙ্গে খুশী করেছে আপামর চলচ্চিত্রপ্রেমীদের।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।