কালবৈশাখীর হাওয়া একেবারেই পাওয়া যাচ্ছে না সত্যি, তবে বুধবারের বিকেলে আক্ষরিক অর্থেই ‘আনন্দ সংবাদ’-এর হাওয়া ছড়িয়ে দিলেন ‘পারিয়া’ নির্মাতারা। কোনো ক্যাপশন ছাড়াই একটি ছবি পোস্ট করেছেন ছবির পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়-সহ মুখ্য চরিত্রে থাকা অঙ্গনা রায়, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়রা।
বড়পর্দায় এই ছবি মুক্তি পেয়েছে সেই ফেব্রুয়ারি মাসে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই যথেষ্ট সাফল্য পেয়ে আসছে ‘Pariah: Vol 1 (Every Street Dog Has A Name)’। নন্দনে হাউসফুল হয়েছে প্রায় প্রত্যেকটি শো-ই। একটানা হাউসফুল হয়েছে অন্যান্য বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহেও। কেবল বঙ্গেই নয়, ‘Dreams On Sale’ এবং ‘Pramod Films’ প্রযোজিত এই ছবি মুক্তি পেয়েছিল বাংলার বাইরে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহেও। মুক্তির পরে তিনমাস কেটে গেলেও ছবি নিয়ে উন্মাদনা কমেনি একবিন্দুও।
তথাগত-বিক্রমেরা ছবির নীচে কোনো ক্যাপশন না লিখলেও, নিজের অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছে সেই ছবির টুকরো নিজেই। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপর রক্ত দিয়ে রোমান হরফে লেখা রয়েছে একটা সংখ্যা, দুই। নীচে লেখা একটা সাল, ২০২৫। স্পষ্টতই ভক্তদের মধ্যে শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি ২০২৫ সালে মুক্তি পেতে চলেছে ‘পারিয়া’র সিক্যোয়েল!
এর আগে, ‘পারিয়া’ ছবির ২৫ দিন পূর্তিতে পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সিক্যোয়েল আসছে। তবে জানা গিয়েছিল, শ্যুটিংয়ের কাজ তখনো শুরু করেননি তাঁরা। পরিচালক বলেছিলেন, পুরো পশুদের সাম্রাজ্যের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অন্যায়কে তুলে ধরার ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের। জানিয়েছিলেন, ‘পারিয়া’ মানেই পরিত্যক্ত। তাই আগামী ছবিতে থাকতে পারে পথবিড়ালের কথাও। আগের ছবিতে মৃত্যু হয়েছে অনেক চরিত্রেরই, তাই স্বাভাবিকভাবেই সিক্যোয়েলে দেখা যাবে না তাঁদের। একঝাঁক নতুন মুখ দেখা যাবে আগামী ছবিতে।
‘পারিয়া’ তৈরী হয়েছিল বেশ কিছু সত্য ঘটনা অবলম্বনে। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন বিক্রম চ্যাটার্জী। এই প্রথমবার তাঁকে ‘অ্যাকশন ফিল্মে’ দেখা যাবে। এই ছবিতে তাঁর লুক ‘গুন্ডা’, কিংবা ‘রাবণ’-এর মত, যা তাঁর আগের কাজগুলির থেকে একেবারেই আলাদা। তিনি ছাড়াও এই ছবিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন অঙ্গনা রায়, সৌম্য মুখার্জী, শ্রীলেখা মিত্র, অম্বরীশ ভট্টাচার্য লোকনাথ দে, দেবাশীষ রায়, তপতী মুন্সী প্রমুখ।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।