কালার্স বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘ফেরারি মন’। যে ধারাবাহিকে আমরা দেখতে পাই বিভিন্নরকমের চমক। কিন্তু এবারে ধারাবাহিকের গল্প কোনদিকে মোড় নেবে?
গল্প অনুসারে, ভোলাকে দেখতে হবহু অগ্নির মত। কিন্তু আদবকায়দায় একেবারেই ভিন্ন। মেদিনীপুরের গ্রামের মানুষ ভোলা। কিন্তু হঠাৎই এক বিপদের সম্মুখীন হয় সে। তার বাপ-ঠাকুর্দার থেকে পাওয়া এক টুকরো জমিটা বুঝি উন্নয়নের জন্য সরকারকে ছেড়ে দিতে হবে।
ভোলা পঞ্চায়েত থেকে তেমন রাস্তা না পেয়ে, শহরে আসে বড় অফিসারদের দরজায় সুরাহা খুঁজতে। কিন্তু বড় শহরের রাস্তা, বাস, ট্রাম দেখে ঘাবড়ে যায় সে। দুর্ভাগ্যবশত, তার সারল্যতাই সব থেকে বড়ো শত্রু হয়। সেই রাতেই তার সমস্ত জিনিসপত্র চুরি যায়।
অবশেষে কোনোরকমে ভোলা এসে পৌঁছয় তুলসীর অফিসে, যেখানে তাকে দেখতে পেয়ে তুলসী পুরো হতভম্ব হয়ে যায় – এ তো অবিকল অগ্নি!
তুলসী ভোলাকে খুঁজতে শুরু করে, অগ্নি মনে করে। কিন্তু ভুল বোঝে ভোলা, বড় ম্যাডামকে ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় সোজা গ্রামে। তুলসী তাকে খুঁজতে অবশেষে মেদিনীপুরের এক গ্রামে এসে পৌঁছায়। কিন্তু বড় ম্যাডামকে দেখেই ভোলা কখনো গাছে উঠে পরে, কখনো পাগলের মতো দৌড়ায়। অবশেষে তুলসী ভোলার বাড়ি খুঁজে পায় এবং দেখা হয় ভোলার ঠাকুমার সাথে। এবং তুলসী জানতে পারে সে অগ্নি নয় ভোলা।
পরবর্তীতে ভোলার সাথে দেখা হওয়ার পর তুলসী তাকে খুব করে অনুরোধ করে কলকাতায় আসার জন্য। তুলসী অনুরোধ করে, ভোলা যেন রায়বর্মন পরিবারের সামনে অগ্নি সেজে দাঁড়ায়। কারণ তুলসীর কাছে এই একটাই উপায় আছে, যেটা অগ্নির হত্যাকারীদের মুখোশ খুলে দিতে পারে।
ভোলা প্রথমে রাজি না হলেও, তুলসীর জীবনের যন্ত্রণার কথা চিন্তা করে নিজের মত পাল্টায় এবং অবশেষে কলকাতা উপস্থিত হয় তুলসীকে সাহায্য করতে। রায়বর্মনদের থেকে ভোলাকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা চালানোর সময় নানা হাস্যকর মুহূর্ত তৈরি হয় এবং শেষে, তুলসী ভোলাকে একটি অন্য অ্যাপার্টমেন্টে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। শুরু হয় ভোলা থেকে অগ্নি হয়ে ওঠার যাত্রা এবং যে কাজে তুলসীর সহায়তা করতে আসে ওম।
এক ভিন্ন কায়দার মানুষ ভোলা। গ্রামের ছাঁচ থেকে বেড়িয়ে শহুরে বাবু হতে পারবে কি সে? নাকি ব্যর্থ হবে ভোলা? ভোলাকে অগ্নি সাজিয়ে তুলসী খুঁজে বের করতে পারবে অগ্নির খুনিকে? সবটা জানতে দেখতে হবে ‘ফেরারি মন’, প্রতিদিন সন্ধ্যে ৬:৩০টায়, শুধুমাত্র কালার্স বাংলায়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক পাশ করার পর থেকেই সাংবাদিকতায় আসার ইচ্ছে আরো প্রবল হয়। কলেজে পড়ার পাশাপাশি অ্যাঙ্করিং এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অ্যাঙ্করিং এর জোর দেওয়া হয়।
বিনোদনের জগতের বিভিন্ন খবর বলার পাশাপাশি ছোটো ছোটো নিবন্ধও লেখেন তিনি।