দর্শকদের পছন্দের তালিকার মধ্যে যে ধারাবাহিকের কথা বারবার উঠে আসে, সেটি হল কালার্স বাংলার ‘ফেরারি মন’। যেখানে একের পর এক চমক দেখতে পায় দর্শকেরা, কিন্তু এবার কী চমক দেখতে পাবে তারা? কে এই ভোলা?
দেখতে সে হবহু অগ্নির মতো, তবে আদবকায়দায় একেবারেই ভিন্ন। মেদিনীপুরের গ্রামের মানুষ ভোলা। আদ্যোপান্ত সাদাসিধে, সদাহাস্য, সরল মনের মানুষ। তার খামখেয়ালিপানায় কখনও সে নিজেই সমস্যায় পড়ে যায়, আবার কখনও সে হয়ে ওঠে গ্রামের মানুষদের কাছে হাসির পাত্র। কিন্তু তবু যে কোনও কাজ করতে ভোলা সর্বদা প্রস্তুত। পরিবার বলতে আছে তার ঠাকুমা, যাঁর কথা ভোলা বেদবাক্যের মতো মেনে চলে।
কিন্তু এখন এক নতুন বিপদ এসে দাঁড়িয়েছে ভোলার জীবনে। তার বাপ-ঠাকুর্দার থেকে পাওয়া এক টুকরো জমিটা বুঝি উন্নয়নের জন্য সরকারকে ছেড়ে দিতে হবে। ঠাকুমা বলেছে, যে করেই হোক জমি বাঁচাতে হবে। ভোলা পঞ্চায়েত থেকে তেমন উপায় না পেয়ে, শহরে আসে বড় অফিসারদের দরজায় সুরাহা খুঁজতে।
কিন্তু বড় শহরের রাস্তা, বাস, ট্রাম দেখে ঘাবড়ে যায় সে। দুর্ভাগ্যবশত, তার সারল্যতাই সব থেকে বড়ো শত্রু হয়ে যায়। সেইরাতেই তার সমস্ত জিনিসপত্র চুরি যায়। অবশেষে কোনোরকমে ভোলা এসে পৌঁছায় তুলসীর অফিসে, যেখানে তাকে দেখতে পেয়ে তুলসী পুরো হতভম্ব হয়ে যায় – এ তো অবিকল অগ্নি!
তুলসী ভোলাকে খুঁজতে শুরু করে, অগ্নি মনে করে। কিন্তু ভুল বোঝে ভোলা। বড় ম্যাডামকে ভয় পেয়ে সে পালিয়ে যায় সোজা গ্রামে। তুলসী তাকে খুঁজতে অবশেষে মেদিনীপুরের এক গ্রামে এসে পৌঁছায়। কিন্তু বড় ম্যাডামকে দেখেই ভোলা কখনো গাছে উঠে পড়ে, কখনো পাগলের মতো দৌড়য়। অবশেষে তুলসী ভোলার বাড়ি খুঁজে পায় এবং দেখা হয় ভোলার ঠাকুমার সাথে।
তবে এখানেই শেষ নয়। আগামীদিনে আগমন ঘটতে পারে এক নতুন বাধার অর্থাৎ গৌরীর।
গৌরী আর ভোলা একই গ্রামের বাসিন্দা এবং সম্পর্কে মেয়েটি ভোলার বাগদত্তা। দুজনের ঠাকুরদা আগে থেকেই তাদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছিলেন। তাই গৌরী মনে করে যে ভোলা-ই তার স্বামী। মেয়েটি বাইরে থেকে বেশ রুক্ষ এবং কঠিন প্রকৃতির হলেও, সে আসলে সহজ, সরল। দোষের মধ্যে সে ভীষণ মুখরা। গৌরীর বাস্তববুদ্ধি ভীষণ প্রখর।
অতএব, ভোলার দিদাও মনে করেন যে গৌরী ভোলার জন্যে একদম উপযুক্ত পাত্রী। ভোলাকে সঠিকপথে শক্তভাবে ধরে রাখতে পারবে একমাত্র এই মেয়েটি। সে কখনো কাউকে তার কাছ থেকে ভোলাকে নিয়ে যেতে দেবে না। অন্যদিকে ভোলা আবার গৌরীকে বেশ ভয় পায়,পারলে এড়িয়ে এড়িয়ে চলে।
তুলসী-ভোলা-গৌরী, ভাগ্য এই তিনজনকে কোনদিকে নিয়ে যাবে? ঠাকুমার সাথে দেখা করে তুলসী কি বুঝতে পারবে ছেলেটা অগ্নি নয়, সে ভোলা?
এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে দেখতে হবে, ‘ফেরারি মন’, প্রতিদিন বিকেল ৬:৩০টায়, শুধুমাত্র কালার্স বাংলায়।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক পাশ করার পর থেকেই সাংবাদিকতায় আসার ইচ্ছে আরো প্রবল হয়। কলেজে পড়ার পাশাপাশি অ্যাঙ্করিং এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অ্যাঙ্করিং এর জোর দেওয়া হয়।
বিনোদনের জগতের বিভিন্ন খবর বলার পাশাপাশি ছোটো ছোটো নিবন্ধও লেখেন তিনি।