এতদিনে সকলেই জেনে গিয়েছেন, যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরাণী’ আসছে বড়পর্দায়। কেবল তাইই নয়, প্রায় সকল চরিত্রের লুকই দেখেও ফেলেছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু ভবানী পাঠকের লুক দেখা যায়নি এতদিন।
ভবানী পাঠকের চরিত্রে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। এ খবর পাওয়ার পর থেকেই উন্মাদনা ছিল দর্শকমহলে। প্রসেনজিতের ‘লুক’ দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ছিলেন সকলেই। কিন্তু পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রের আস্তিনের তলায় লুকোনো তাস তিনি। তাই সবার ‘লুক’-এর ছবি প্রকাশ পেলেও, এতদিন দেখা মেলেনি ভবানী পাঠকরূপী প্রসেনজিতের।
সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়েছে তাঁর ‘লুক’-এর ছবি। রূপটানশিল্পী সোমনাথ কুণ্ডুর তুলির ছোঁয়ায়, লাল পাগড়ি আর রক্ততিলকে প্রাণ পেয়েছে ভবানী ডাকাত। মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফের জঙ্গল, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। ওজন থেকে শুরু করে দাড়িগোঁফ, বাড়িয়েছেন সবই। ১৭৭০ সালের ভবানী পাঠকের থেকে আলাদা করা যাচ্ছে না সুপারস্টারকে।
ছবিতে প্রফুল্ল অর্থাৎ দেবী চৌধুরানীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্বামী ব্রজেশ্বরের ভূমিকায় থাকছেন অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ। অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীও রয়েছেন এই ছবিতে, জমিদার হরবল্লভ রায়ের চরিত্রে। রঙ্গরাজের চরিত্রে রয়েছেন তাঁর পুত্র অর্জুনও। নিশির চরিত্রে থাকবেন বিবৃতি চ্যাটার্জী এবং সাগরমণির চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন দর্শনা বণিক। ঘোড়ায় চড়া, অস্ত্রচালনার প্রশিক্ষণও নিয়েছেন সকলে।
তাঁদের লুকসেটের ‘বিহাইন্ড-দ্য-সিন’ ছবি-ভিডিও প্রকাশ পেয়েছিল আগেই। ‘ADited Motion Pictures’ প্রযোজিত এই ছবির পোশাক পরিকল্পনার দায়িত্বে রয়েছেন পৌলমী গুপ্ত, ক্যামেরার দায়িত্বে রয়েছেন অনির্বাণ চ্যাটার্জী। শোনা যাচ্ছে, বাংলাসহ মোট ছয়টি ভাষায় মুক্তি পাবে এই ছবি।
বর্তমানে ঝাড়খণ্ডে চলছে ছবির শ্যুটিং, তাঁকে দেখতে স্বাভাবিকভাবেই ভীড় করেছিলেন অনুগামীরা। কলাকুশলীদের পরিশ্রম এবং সমস্ত চলচ্চিত্র জুড়ে তৈরী হওয়া সেযুগের বাতাবরণ দর্শকদের যে হলমুখী করবে, এ আশা করাই যায়।