টোটা রায়চৌধুরী কাজ করছেন রাজা চন্দের একটি ছবিতে, এ খবর অনেকেরই জানা। স্বাভাবিকভাবেই, পরিচালক-অভিনেতার সুসম্পর্কই বজায় থাকার কথা তাঁদের মধ্যে। তাহলে কী এমন হল হঠাৎ, যে টোটার বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ আনলেন পরিচালক রাজা চন্দ!
অক্ষয়তৃতীয়ার মত শুভদিনেই প্রকাশ্যে এল টলিপাড়ার বিখ্যাত দুই পরিচালক-অভিনেতার মধ্যে সংঘাতের খবর। নিজের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন পরিচালক রাজা চন্দ। তাঁর ‘শপথ ২’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন টোটা। তাঁর পোস্ট করা সেই ভিডিওতে উপস্থিত ছিলেন ছবির দুই প্রযোজকও। টোটার বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ গুরুতর।
গতকাল, শুক্রবার সকালেই নিজের অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা। সেই ভিডিও ক্লিপে অ্যাকশন সিকোয়েন্সে দেখা মিলেছে টোটার। ভিডিও পোস্ট করার পরে, প্রচুর প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। তাহলে এত সুখবরের মধ্যে তাল কাটল কীসে?
রাজা চন্দ জানান, ছবি মুক্তির আগেই ছবির একটি অংশের ভিডিও পোস্ট করার আগে, প্রযোজক, পরিচালক এমনকি কোনো সহকর্মীকেও নাকি জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি অভিনেতা। আর এতেই যারপরনাই ক্ষুব্ধ ছবির পরিচালক। নির্মাতাদের অনুমতি না নিয়ে এধরনের ভিডিও প্রকাশ্যে আনাকে অপরাধ বলেই মনে করেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে আপলোড করা ভিডিওতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন সকল প্রযোজক, পরিচালক এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে।
রাজা বলেন, ‘টোটা রায়চৌধুরীর অনুরোধে এই ভিডিওটি তৈরী করে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন মুম্বইয়ের পরিচালক করণ জোহরকে ভিডিওটি দেখাবেন। অথচ কারোর অনুমতি ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছেন, যা দেখে আমি হতবাক!’ পরিচালকের কথায়, ‘আমার মা হাসপাতালে ভর্তি। আমি খুবই চিন্তিত সেবিষয়ে। তার মাঝেই একজন ক্লিপটা দেখে আমায় ফোন করে জিজ্ঞেস করছে পাইরেসি হয়েছে কিনা!’
গতবছর করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন টোটা রায়চৌধুরী। তাঁর পোস্ট করা সেই বিতর্কিত ভিডিওটি গতকাল নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করেছিলেন খোদ করণই। তারপরেই করণ জোহরকে ট্যাগ করে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট দেন রাজা চন্দ। সেই পোস্টে এই বিষয়ে সম্পূর্ণটাই জানান তিনি। প্রযোজক রানা সরকারও টোটার এই কাজকে ‘অনৈতিক’ বলে উল্লেখ করেছেন একটি পোস্টে।
তবে যে ভিডিও নিয়ে এত বিতর্ক, সেই ভিডিওটি কিন্তু আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না টোটা রায়চৌধুরীর প্রোফাইলে। খুব সম্ভবত সেটি ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি। তবে পরিচালক-অভিনেতা দ্বন্দ্ব যে দর্শকেরা খুব ভাল মনে নেয়নি, তা কমেন্ট সেকশন থেকেই পরিষ্কার। কারোর মতে, এইসব অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো ঠিক নয়। আবার কেউ একে সন্দেহ করেছেন ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলে। আদৌ এই দ্বন্দ্বের শেষ কোথায়, উত্তর দেবে সময়ই।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।