নতুন পরিচালক সুব্রত ঘোষের হাত ধরে বড়পর্দায় বিশ্বনাথ বসু, রাজনন্দিনী পাল, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত, ঋষভ বসু এবং নবাগতা অভিনেত্রী তৃষা দাস। প্রযোজনার দায়িত্বে আছে এপিক টেল এন্টারটেনমেন্ট। ডেবিউ ডিরেক্টর সুব্রত ঘোষের নতুন ছবি “তাহাদের কথা” র ট্রেলার লঞ্চ হয়ে গেল কলকাতার এক নামজাদা রেস্তোঁরায়।
ট্রেলার দেখে বোঝা যাচ্ছে, যে সমস্ত মানুষের গায়ে প্রচারের আলো নেই, যারা জনপ্রিয় নয়, কিন্তু তাদের মধ্যে রয়েছে বিশাল প্রতিভার সম্ভার। কিন্তু প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তারা সমাজের সামনে উঠে আসতে পারে না।
বলা যেতে পারে, একজন লেখক যে নিজেই নিজের বই ছাপিয়ে দেনায় ডুবে বসে আছেন অথবা প্রিয়াঙ্কা এবং রফিকুলের মত প্রেমিক-প্রেমিকা যাদের সমাজ স্বীকৃতি দেয় না, কিন্তু তবুও তারা রোমিও জুলিয়েটের মত নিজেদের প্রেমকে অমর করে রাখতে চায় সমাজের কাছে। এছাড়াও কোন এক নাম না জানা অভিনেত্রী যার স্বপ্ন হল নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে নিজেকে সর্বদা বাঁচিয়ে রাখা সমাজের কাছে। কিন্তু এই সমস্ত মানুষের কথা কেউ জানতে চান না। তাই অনন্য কিছু মানুষের অনন্য গল্পই আমরা “তাহাদের কথা” ছবিতে দেখতে পাবো।
ছবির ট্রেলার দেখে আন্দাজ করা যায় যে, বইপাড়ার এক অনন্য গল্প নিয়ে আসতে চলেছেন পরিচালক সুব্রত ঘোষ। অনিন্দ্যকে দেখা যাবে অনলের চরিত্রে যে কিনা একজন কর্পোরেট অফিসের চাকুরীজীবী। রাজনন্দিনীকে দেখা যাবে সুস্মিতার চরিত্রে, যে আসলে একজন অভিনেত্রী। সে নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে মানুষের কাছে নিজেকে অমর করে রাখতে চায়। ঋষভকে দেখা যাবে রফিকুলের চরিত্রে এবং তৃষাকে দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কার চরিত্রে যে একজন ক্যাবারে ড্যান্সার। রফিকুল এবং প্রিয়াঙ্কার প্রেমের গল্প দেখানো হবে এই ছবিতে।
ট্রেলার লঞ্চে ছবির পরিচালক জানান, “আমি কিছু সংকট লক্ষ্য করছিলাম যেটি বই পড়াতে এবং বইপাড়াতে, বইপাড়াতে তো সবাই যুক্ত থাকে যেমন প্রকাশক,পাঠক,লেখক এবং তাদের মধ্যেকার সংকটকে আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই ছবির মাধ্যমে।”
অনিন্দ্য জানান, “তাহাদের কথা” যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলে সেটি হল বাংলা সাহিত্য,পুরনো বাংলা বই। যে বই এবং বইয়ের লেখকরা সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি, তাদের সেই কাজগুলো কোনোভাবে যাতে হারিয়ে না যায় এবং গল্পগুলোকে বাঁচিয়ে রাখাই এই ছবির উদ্দেশ্য।
রাজনন্দিনী জানান, “এই ছবিতে আমার নাম সুস্মিতা,যিনি একজন অভিনেত্রী। খুবই আনন্দিত হয়েছি অভিনেত্রী হয়ে অভিনেত্রীর চরিত্রে পাঠ করতে। অনেক ভাবনা চিন্তা করে কাজটি করেছি আসলে এরকম চরিত্র করতেই ভালো লাগে যেই চরিত্রগুলো খুব ভাবায়।”
ঋষভ জানান, “এই গল্পটা একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে। যেটি হল, বই পড়া নিয়ে, আমরা বই পড়া,বই কেনা এবং বই উপহার দেওয়া সবটাই ভুলে যাচ্ছি। বইমেলায় গিয়ে মানুষ এখন ফিশফ্রাই খেতে বা রিল বানাতেই বেশি আগ্রহী। বই পড়া হচ্ছে না বলে আমরা কতটা সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়ছি তা নিয়েই “তাহাদের কথা”।
“তাহাদের কথা” কিছু অনন্য মানুষদের অনন্য গল্প বলবে। ছবিটির শুভ মুক্তি পাবে আগামী ১০ ই মে আপনাদের কাছের প্রেক্ষাগৃহে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক পাশ করার পর থেকেই সাংবাদিকতায় আসার ইচ্ছে আরো প্রবল হয়। কলেজে পড়ার পাশাপাশি অ্যাঙ্করিং এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অ্যাঙ্করিং এর জোর দেওয়া হয়।
বিনোদনের জগতের বিভিন্ন খবর বলার পাশাপাশি ছোটো ছোটো নিবন্ধও লেখেন তিনি।