জি বাংলার এক জমজমাট ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’। দর্শকদের নিত্য চমকে চমকিত করে রাখে এই মেগা। এবার গল্পে অনিকেত ও শ্যামলী কাছাকাছি আসার পথে। কিন্তু এই খুশির সময় চিন্তার ভাঁজ এসেছে অনিকেতের মা অপরাজিতার কপালে। কিন্তু কেন!
আসলে অপরাজিতা ভাবতে থাকে, যে একবার যদি শ্যামলী অনিকেতের মনে একবার জায়গা করে নেয়, তাহলে তার সংসারের দায়িত্ব থেকে সে বিতাড়িত হবে। একঘরে হয়ে পড়ার আশঙ্কা করতে থাকে অপরাজিতা। নিজের ঘর ভাঙার ভয় থেকেই অপরাজিতা তিস্তার বাড়িতে যায় বিয়ের কথা বলতে। জোড়াবাড়ির ঠাম্মি ছাড়া কেউই তিস্তার আসল পরিচয় জানে না।
বিয়ের কথা শুনে শ্যামলী ওরফে তিস্তা তার হবু শাশুড়িমাকে জানায়, অনিকেত যদি শ্যামলীকে ডিভোর্স দিতে রাজি হয়, তাহলে সে বিয়ের জন্য তৈরী। এই কথা অনিকেত জানতে পারে, আর তারপর থেকেই খুব সঙ্কটে ভুগতে থাকে। তিস্তাকে সে জানায়, এই মুহূর্তে সে বিয়ের কথা নিয়ে কিছু ভাবতে প্রস্তুত নয়।
এরই মধ্যে এবার উৎসবের আমেজ জোড়া বাড়ীতে। অনিকেতের কাকিমা অর্থাৎ মৈত্রী আয়োজন করে রবীন্দ্রজয়ন্তী। এই অনুষ্ঠানে অনিকেত, শ্যামলী, প্রিয়াঞ্জলি এবং রোহিণী চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যটি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এছড়াও ঠিক হয়, বাড়ির মহিলারাও অংশগ্রহণ করবে এতে। শুধু তাই নয়, শ্যামলী, অনিকেত এবং ভাইবোনেরা একসঙ্গে মিলে করবে সঙ্গীত পরিবেশন।শুধু কি তাই? রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রয়েছে আরো চমক!
এরই মাঝে দর্শকদের মধ্যে মনে একটা প্রশ্ন অবশ্যই জেগেছে, অনিকেত কি শ্যামলীকে সত্যি ডিভোর্স দিতে রাজি হবে? নাকি সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে মনের কথা খুলে জানাবে সে? সব জানতে অবশ্যই চোখ রাখুন ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’, ঠিক রাত সাড়ে আটটায়, টানটান এক ঘণ্টার মহাপর্ব শুধুমাত্র জি বাংলায়।