Live Entertainment & Love Lifestyle

Wednesday, April 2, 2025
Entertainment

অরুণাভর আসল রূপ সবার সামনে তুলে ধরল শ্যামলী‌!

সাপ্তাহিক টিআরপি তালিকার প্রথম ৫ এর মধ্যে থাকা ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’। ধারাবাহিকটি শুরুর পর থেকেই দর্শকদের মন জয় করে এসেছে কোনো না কোনো চমকপ্রদ ঘটনার মধ্য দিয়ে। ধারাবাহিকটির মুখ্য চরিত্রে আমরা দেখতে পাই প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যকে শ্যামলীর ভূমিকায় এবং টলি অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুকে অনিকেত মল্লিকের ভূমিকায়।

অনিকেত জোরাবাড়ির সুযোগ্য পুত্র এবং ঘটনাচক্রে শ্যামলী সেই বাড়ির পুত্রবধূ অর্থাৎ অনিকেতের স্ত্রী হয়ে আসে। শ্যামলী উত্তরবঙ্গের মেয়ে। সে বুদ্ধিমত্তার জোরে একের পর এক ঘটনা থেকে জোরাবাড়িকে এবং নিজেকে উদ্ধার করে।
গল্প এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে শ্যামলী অনিকেতকে ভালোবেসে ফেলে। খুব বুদ্ধি করে ছদ্মবেশ ধারণ করে, নিজের স্বামীর মনে সে তার নিজের জন্য জায়গা করে নেয়। জোরাবাড়ির সকলেই যে তাকে পছন্দ করে তেমনটা নয়। অনিকেতের মা ভয় পায়, শ্যামলী অনিকেতের মন জয় করতে সফল হলে সে ছেলেকে হারাবে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু মানুষ তাকে অপছন্দ করলেও বেশিরভাগ মানুষই শ্যামলীর পক্ষে।

বর্তমানে আমরা দেখতে পাই উত্তরবঙ্গ থেকে জোরাবাড়ির খুব কাছের একজন মানুষ সেবাড়িতে এলে শ্যামলী জানায়, সেই ব্যক্তি তার মাস্টারমশাই। তার খুব কাছের একজন মানুষ। অপরদিকে মাস্টারমশাইও শ্যামলীকে এখানে দেখে অবাক!
সে শ্যামলীকে প্রশ্ন করলে জানতে পারে, সে ওই বাড়ির পুত্রবধূ। সেকথা শুনে মাস্টারমশাই খুব খুশি হলেও, তার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়নি এ কথায় সে বেশ দুঃখ প্রকাশ করে।

এরই মধ্যে শ্যামলী নিজের অদম্য সাহস ও বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অপ্রতিম এবং প্রিয়াঞ্জলীকে সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণ করে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, জ্যাকি তার উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার, অর্ধেন্দু সেনের ফাঁদে কিভাবে প্রিয়াঞ্জলী এবং অপ্রতিমকে ফাঁসিয়েছিল তা পরিবারের সামনে ব্যাখ্যাও দেয় শ্যামলী। এই ঘটনার পর অনিকেতের মা এবং পরিবারের কিছু সদস্য ছাড়া অন্যান্য বাকি সদস্যরা শ্যামলী কাছে কৃতজ্ঞতা জানায় এবং তাকে গ্রেট বেঙ্গল ক্যাটারার্সের চাকরি আবার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

শ্যামলী অফিস গিয়েই বেশ কিছু গন্ডগোল লক্ষ্য করে। কিন্তু পারিবারিক ব্যবসায় গন্ডগোলের কথা প্রমাণ ছাড়া সবার সামনে আনতে সে ইতস্তত বোধ করে। বাকি অফিসের কর্মচারীদের থেকেও সে জানতে পারে এই চুরির ঘটনা।
সবটা জানার পর সে বুঝতে পারে, পরিবারের ছেলে অরুণাভ মল্লিকের হাত আছে এই চুরির পিছনে। তবে তার প্রমাণ কোথায়? এবার শ্যামলী এক নতুন যুদ্ধে নামার জন্য প্রস্তুত। তবে এই যুদ্ধে সে সঙ্গে চেয়েছে অনিকেতকে। অনিকেত একটু অসংগতির মধ্যেই তাকে সমর্থন করে পাশে থাকার কথা জানায়।
এরপর তারা বিভিন্ন রকম ছলচাতুরি করে। শ্যামলী এবং অনিকেত মিস্টার এন্ড মিসেস গোস্বামীর ছদ্মবেশে জোরাবাড়িতে এসে উপস্থিত। তারা তাদের ছেলের বিয়ের একটি বড় অর্ডার তুলে দেয় অরুণাভর হাতে। এত বড় একটি অর্ডার থেকে তারা অনেকটা টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকাতে পারবে ভেবে অরুণাভ এবং তার স্ত্রী ভীষণ খুশি হয়।
তারা নিজেদের অজান্তেই শ্যামলীর পরিকল্পনায় শামিল হয়ে গিয়েছে। এর মাধ্যমে শ্যামলী সমস্ত প্রমাণ জোগাড় করে নিজের স্বামী এবং পরিবারের সকলের সামনে অরুণাভর আসল রূপ বের করে আনবে বলে প্রস্তুতি নিতে থাকে।
অরুণাভর আসল চেহারা সবার সামনে আসার পর সে কী করবে? শ্যামলী এই ঘটনার পর নিজেকে কতটা সুরক্ষিত রাখতে পারবে বাড়িতে এবং অফিসে? তবে কি এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই অনিকেত সর্বদা শ্যামলীর পাশে থাকার অঙ্গীকার নিল? এই সমস্ত জানতে অবশ্যই দেখতে হবে ২৫ শে এপ্রিল আজ ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ টান টান এক ঘন্টার মহা পর্বে শুধুমাত্র জি বাংলায়।

Author