জি বাংলার অতীব জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ সম্প্রতি ৫০০ পর্ব অতিক্রম করে। গল্পে এসেছে এক নতুন সদস্য , দত্তবাড়িতে আগমন ঘটেছে পর্ণা-সৃজনের আদরের মেয়ের। সৃজন ও পর্ণার নাম মিলেয়ে মেয়ের নাম হয় শ্রীপর্ণা এবং দাদু ভালোবেসে নাম রাখেন পুঁটি।
পুঁটির বড় হওয়ার মধ্যে দিয়েই ধারাবাহিকটি এগিয়েছে ছয় বছর, বর্তমানে পুঁটি বাড়ির সকলের খুব প্রিয় হলেও এখনো কৃষ্ণা অর্থাৎ নিজের ঠাকুরমার অপ্রিয়ই সে। কৃষ্ণা এখনো ভুলতে পারেনি সে নাতির মুখ দেখতে চেয়েছিল। অন্যদিকে দত্তবাড়ির সবাই মিলেমিশে আনন্দ করে কাটাচ্ছে । সৃজন ও পর্ণার ব্যবসারও অগ্রগতি ঘটেছে।
ইতিমধ্যে পর্ণার পুরনো শত্রু ইশা তার প্রেমিক রনিকে প্রতারিত করে রনির বাবা জননেতা সুকুমার হালদারকে বিয়ে করে ইলেকশনের টিকিট পাওয়ার লোভে।
বিয়ের পর জননেতা তার ছেলে রনিকে ত্যাজ্যপুত্র করেন।
অন্যদিকে গল্পে এবার এল এক নতুন চমক। সৃজন ও পর্ণা ‘শাড়ির কথা’তে এক বড় কাজের অর্ডার পায়। সৃজন নিমতার তাঁতিপাড়ায় কাঁচামাল কিনতে পৌঁছে যায়। অন্যদিকে ইশার কথামতো মৌমিতা সর্বদাই তার উপর নজর রাখে। ফেরার পথে সৃজন এর উপর এক প্রাণঘাতী আক্রমণ ঘটায় ইশার গুন্ডারা রঘুনাথপুর গ্রামে। অসহায় সৃজনকে গুন্ডাদের থেকে বাঁচাতে দেখা যায় গ্রামের একটি মেয়েকে, যার নাম সুইটি পাল।
হঠাৎ করেই সৃজনকে ভালোবেসে ফেলে সে। পরবর্তীতে দেখা যায় খুব সাধারণ ভাবে থাকলেও সুইটি খুব দুষ্ট এবং লোভী মেয়ে। সে ‘সৃজনকে সোনার ডিম পাড়া হাঁস’ মনে করে এবং সৃজনের সাথে মিথ্যে বিয়ের অভিনয় করে দত্তবাড়িতে প্রবেশ করার পরিকল্পনা করে ধূর্ত সুইটি। সে খুব শান্ত মাথায় পরিকল্পনা করে সৃজনকে ফাঁসানোর।
তাদের জীবনে আবার আসে এক নতুন সংকট। কে এই সুইটি? কি বা তার আসল পরিচয়? পর্ণা কি পারবে সুইটির আসল রূপ সবার সামনে বের করে আনতে?