মনে করা হয়েছিল, বাংলায় মুক্তি পেলে এ গান সকলকে চমকে দেবে। সকলকে না হলেও ‘পুষ্পা পুষ্পা’র বাংলা ভার্সন চমকে দিয়েছে অনেককেই। তিমির-শ্রীজাতর এই যুগলবন্দি আক্ষরিক অর্থেই পেয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
দক্ষিণী ছবি ‘পুষ্পা’র দারুণ সাফল্যের পর, আসছে ‘পুষ্পা ২’। আরো অনেকগুলি ভাষার সঙ্গে বাংলাতেও মুক্তি পাবে এই ছবি। যেকোনো ছবি আঞ্চলিক ভাষায় ডাবিং করা হলে, স্বাভাবিকভাবেই আবেদন বাড়ে তার। তবে ‘পুষ্পা’-নির্মাতারা আরো একধাপ উপরে। কেবল ছবি নয়, ‘পুষ্পা ২’-র গানও মুক্তি পাচ্ছে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায়।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এই ছবিটির টাইটেল ট্র্যাক, প্রথম গান ‘পুষ্পা পুষ্পা’। টি সিরিজের তরফে তেলুগু, তামিল, হিন্দি, কন্নড়, মালায়ালম এবং বাংলা ভাষায় তৈরী করা হয়েছে গানটি। বাংলা ভাষায় এ গানের কথা লিখেছেন জনপ্রিয় লেখক, কবি ও গীতিকার শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। গানটি গেয়েওছেন আরেক জনপ্রিয় গায়ক তিমির বিশ্বাস। আর তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে বিপরীতমুখী দুই ঝড়।
শ্রীজাত-তিমিরের ভক্তেরা অনেকেই বেজায় চটেছেন তাঁদের উপরে। কমার্শিয়াল এই ছবির গানকে ব্যঙ্গও করেছেন অনেকে। সুপারস্টার দেবের সিনেমার গানের সঙ্গেও কেউ কেউ তুলনা করেছেন এই গানকে। আবার কেউ বলছেন, কৃত্রিম এই গলায় গানের লিরিক হয়ে উঠেছে দুর্বোধ্য। ক্রমাগত হয়ে চলেছে মিম-ট্রোল।
আবার অনেকের মতে, বেশ অন্যরকম অবতারে পাওয়া গিয়েছে শ্রীজাত-তিমিরকে। গাম্ভীর্য্যপূর্ণ গানেই সাধারণত দেখা যায় তাঁদের উপস্থিতি। তবে এই র্যাপ সং সে ঘরাণার থেকে একেবারেই আলাদা। তিমিরের আলাদাধরনের স্বরক্ষেপণ ভালো লেগেছে কিছু মানুষের।
‘পুষ্পারাজ’-এর দুর্দান্ত সাফল্য সত্ত্বেও, এমন মিম-ট্রোলের বন্যা হয়ত তেমন আশা করেননি নির্মাতারা। তবে ভাল হোক বা খারাপ, ‘নীচু না হয়ে’ ‘পুষ্পা পুষ্পা’ যে আলোচনার শিখরে পৌঁছেছে, তাতে কি আর সন্দেহ আছে?
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।