গত এপ্রিলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ছবির শ্যুটিংয়ের কাজ। গত বছর নভেম্বরের শেষের দিকে মুক্তি পেয়েছিল অর্জুন দত্ত পরিচালিত ‘ডিপ ফ্রিজ’-এর টিজার। ‘Colors of Dream Entertainment’ প্রযোজিত এই ছবি এবার দেখা গেল ১৬তম হ্যাবিট্যাট আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।
ফেব্রুয়ারি মাসে জানা গিয়েছিল, ‘Bengaluru International Film Festival (BIFFes)’-এ দেখানোর জন্য নির্বাচিত হয়েছে ‘ডিপ ফ্রিজ’। মাসকয়েকের মধ্যেই ফের শোনা গেল সুখবর। ১৬তম হ্যাবিট্যাট আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবির শো ছিল প্রায় হাউজফুল। দর্শকদের কাছ থেকে অজস্র প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘ডিপ ফ্রিজ’।
ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন আবীর চট্টোপাধ্যায় এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী। তথাকথিত সুখী সংসার ছিল স্বর্ণাভ ও মিলির। কিন্তু কিছু কারণে দাম্পত্যসম্পর্কে ইতি টানতে হয় তাদের। বিবাহবিচ্ছেদের পর কি হঠাৎই হিমশীতল হয়ে যাবে তাদের রসায়ন? নাকি মনের মধ্যেকার টান থেকেই যাবে? তাদের একমাত্র সন্তান তাতাইয়ের ভবিষ্যৎই বা কী? এসব নিয়ে তাঁর আগের ছবি ‘অব্যক্ত’ বা ‘শ্রীমতী’র মত এই ছবিতেও সম্পর্কের গল্পই বুনেছেন পরিচালক অর্জুন দত্ত।
১৬তম হ্যাবিট্যাট আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁর ছবির স্ক্রিনিং নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত পরিচালক অর্জুন দত্ত। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে আমার ডেবিউ ফিল্ম অব্যক্ত হ্যাবিট্যাটে দেখানো হয়েছিল। তাই হ্যাবিট্যাট আমার কাছে খুবই স্পেশাল। আর এবারে ছবির শো পুরো হাউজফুল ছিল। তাছাড়া সকলে উঠে দাঁড়িয়ে আমায় অভিবাদন জানিয়েছেন।’
পরিচালক যোগ করেন, ‘এখানকার দর্শকেরা খুবই মার্জিত এবং শিক্ষিত। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছে যে ব্যাপারটা, সেটা হল, তসলিমা নাসরিন ম্যাম ছবিটা দেখে নিজের মতামত জানিয়েছেন। বাংলা সিনেমার এই কঠিন সময়ে তিনি আমাকে আশার আলো বলে প্রশংসা করেছেন!’ কেবল তসলিমা নাসরিনই নন, অর্জুন জানান, অভিনেত্রী মিতা বশিষ্ঠের সঙ্গেও ছবির ব্যাপারে কথা হয়েছে তাঁর।
ছবিতে আবীর-তনুশ্রী ছাড়াও রয়েছেন অনুরাধা মুখার্জী, দেবযানী চ্যাটার্জী, কৌশিক চ্যাটার্জী, শোয়েব কবীর, লক্ষ্য ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব সৌম্যঋতের কাঁধে। কাহিনী লিখেছেন পরিচালক অর্জুন দত্ত এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন অর্জুন ও আশীর্বাদ মৈত্র। সংলাপের কাজে অর্জুন-আশীর্বাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন আত্মদীপ ভট্টাচার্য্যও।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।