মাসখানেক ধরেই ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খান। ডিসেম্বরের শেষদিকে চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। তবে আচমকাই আজ অবনতি হয় তাঁর শারীরিক অবস্থার। আর তারপরেই অকালে খসে পড়ে সঙ্গীতজগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
মাসখানেক ধরেই ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। বহুদিন ধরেই প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খান। তবে ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই অবনতি হয় তাঁর শারীরিক অবস্থার। আর তারপরেই অকালে খসে পড়ে সঙ্গীতজগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্র। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৬ বছর।
উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে। উস্তাদ নিসার হুসেন খান এবং উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের থেকে তালিম নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অন্যতম দিকপাল। তবে কেবল শাস্ত্রীয় সঙ্গীতই নয়, পাশাপাশি বেশ কিছু হিন্দি ও বাংলা ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি।
মাত্র এগারোবছর বয়সে প্রথম গানের অনুষ্ঠান করেছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে তিনি পেয়েছিলেন ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার। একই বছরে ‘সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড’ সম্মানও পেয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী রশিদ খান, এই ঘরানার প্রতিষ্ঠাতা, উস্তাদ ইনায়েত হুসেন খানের প্রপৌত্র।
২২শে নভেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। প্রস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসায় অল্পস্বল্প সাড়া দিলেও, তার মাঝেই হানা দেয় ব্রেনস্ট্রোক। তারপরেই আইসিইউ থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ভেন্টিলেশনে। আজ, মঙ্গলবার, শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটে তাঁর। বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে পিয়ারলেস হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়।তাঁর অকালমৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, আজ সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবে তাঁর মরদেহ। রাতে তাঁকে রাখা হবে ‘পিস ওয়ার্ল্ড’-এ। আগামীকাল সকাল সাড়ে ন’টা থেকে রবীন্দ্রসদনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে তাঁকে।