গান বোনা ! আক্ষরিক অর্থেই তাই করেছেন কোক স্টুডিও বাংলার শিল্পীরা।
বাংলাদেশের তাঁত শিল্প ও তাঁত শিল্পী দের উৎসর্গ করেই এই গান। গানটিতে অর্ণবের সাথে গলা মিলিয়েছেন জয়াআহসান, নাইজেরিয়ান শিল্পী অলিবয়, তাঁত গানের প্রখ্যাত শিল্পী গঞ্জেরআলি ও বাকি সহ শিল্পীরা । বাদ্য যন্ত্রে মিঠুন, নিশাত, ফাইজন সহ বাকি শিল্পীরা।
প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো এই বাংলাদেশের তাঁত ইতিহাস। বিশেষ করে ঐতিহ্যবহী জামদানি তাঁত, যার বিশ্ব জোড়া খ্যাতি বিদ্যমান । এই শিল্পের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে তাঁত গানের ইতিহাস, এই গানগুলো “জামদানি বুলি” নামে বহুল প্রচলিত। বংশ পরম্পরায় চলে আসছে এই গান এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তীতে। আজও বাংলাদেশের তাঁতী গ্রাম গুলোতে গেলে দূর থেকেই শোনা যায় সেই তাঁত যন্ত্রের নির্দিষ্ট তালে টকা – টক শব্দ, আর কানে ভেসে আসে সেই চেনা পরিচিত জামদানি বুলি।
গানটি তে আধুনিক বাদ্যযন্ত্র, প্রযুক্তি ব্যবহার এর সাথে সাথে গানটির মাটির টান ধরে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে তুলা ধুনা, সারেঙ্গী, দোতারার মতো বাদ্যযন্ত্র। ব্যবহার করা হয়েছে সেই প্রাচীন কাল থেকে চলে আসা তাঁত যন্ত্রের আদি ছন্দ।
গানটির দৃশ্যায়ন এও আমরা চমৎকার অভিনবত্ব দেখতে পাই। সমগ্র উপস্থাপনা জুড়ে দেখা যায় তাঁতের ব্যবহার শিল্পীদের পোশাকের মধ্যেও রয়েছে তাঁতের ছোঁয়া। সব মিলিয়ে পুরো উপস্থাপনা জুড়ে দর্শকদের মন চলে যায় গ্রাম বাংলার সেই একান্ত তাঁতী গ্রামে, মাটির টানে।
গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য কেই তুলে ধরেছে কোক স্টুডিও বাংলা তাদের তৃতীয় সিজনে। অভিনবত্ব কোক স্টুডিও বাংলার প্রধান দর্শন বলা যেতে পারে, তা সে প্রথম সিজিনের নাসেক- নাসেক, ভবেরপাগল হোক বা দ্বিতীয় সিজিনের বনবিবি, দেওরা, বা সন্ধ্যাতারা হোক। তৃতীয় সিজিন ও তার ব্যাতিক্রম নয়। তাদের দাবি এই নববর্ষে, নব সুরে শুরু হোক নবযাত্রা! সুর নতুন হোক বা আদি সেই সুরে coke studio বাংলা ঠিকই বাঁধতে পেরেছে শ্রোতাদের মন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ইংরাজির পাশাপাশি ভালবাসা রয়েছে বাংলা সাহিত্যের প্রতিও। দেখার পাশাপাশি অভিনয়ও করেন নাটকে। বিনোদনজগতের বিভিন্ন আকর্ষক বিষয় নিয়ে খবর করেন তিনি।