বারংবার বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রায়শই খবরের শিরোনামে থাকেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। তবে দেবালয় ভট্টাচার্য্যকে নিয়ে এমন কোনো কথা শোনা যায়নি এর আগে। তাহলে হঠাৎ তাঁর বক্তব্য নিয়ে চর্চা কেন?
আসলে কয়েকদিন আগে, চলচ্চিত্রজগতের অবক্ষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনুরাগ বলেছিলেন বর্তমানে নাকি ভাল বাংলা সিনেমা তৈরী হয় না। টলিউড ইন্ডাস্ট্রি একের পর এক ঠিক কতটা জঘন্য সিনেমা বানাচ্ছে, বাংলা সিনেমা নিয়ে তিনি ঠিক কতটা হতাশ, তা বোঝাতেই ‘ঘাটিয়া’ শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন তিনি।
তবে এমন নেতিবাচক মন্তব্যে রেগেও গিয়েছিলেন অনেকে। কেবল সাধারণ মানুষ নন, টলিউডের তারকারাও নিন্দে করেছেন অনেকেই। কিন্তু তাঁদের কাউকে নিয়েই এত চর্চা হয়নি। কেন? কারণ, তাঁরা কেউই অনুরাগ কাশ্যপকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেননি।
হ্যাঁ, বলিউডের পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য্য। ‘বাইরের লোক’ বলে তিনি কটাক্ষও করেছেন অনুরাগকে। প্রায় প্রত্যেক বাক্যেই ছদ্ম সমর্থনের আড়ালে ব্যঙ্গের সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।
কোনো একজনের ভালো না লাগলেই কি সেই ছবি ‘ঘাটিয়া’? কোনো একজনের পছন্দ না হলেই হাজার হাজার দর্শকের পছন্দ ‘ঘাটিয়া’? অনুরাগ সিনেমা ভাল বোঝেন নিঃসন্দেহে, কিন্তু সমালোচকরা বোঝেন না কি? কোনো ইন্ডাস্ট্রির সব ছবিকেই কি ‘ঘাটিয়া’ বলা যায়? এই প্রশ্নগুলোও ফের উঠে আসে বাঙালির মনে।
অনুরাগকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করে দেবালয় বলেন, ‘বাদামী হায়নার কবলে’ দেখেও অনুরাগের ‘ঘাটিয়া’ মনে হলে তিনি ‘ঘাটিয়া’ সিনেমা বানানো ছেড়ে দেবেন। বোঝাই যাচ্ছে, বহুলপ্রশংসিত এই ছবি নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেবালয়। এমনকি এ ছবি যে অনুরাগ কাশ্যপেরও ভাল লাগবে, সে বিষয়েও তিনি একেবারেই নিশ্চিত।
এ দেখে আপনার মনে হতেই পারে, এতদিন পর আবার কেন এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি? নিন্দুকেরা বলেন, বিতর্ক থাকলে নাকি ‘প্রোমোশন’ ভাল জমে? তাই কি এই পদ্ধতির অবলম্বন? সে প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা নেই। তবে অনুরাগ ‘বাদামী হায়নার কবলে’ দেখবেন কিনা, সে উত্তর দেবে সময়।
বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।