Indraneil Sengupta: ‘শ্রেণীতন্ত্রকে সমর্থন!’ ইন্দ্রনীলের মন্তব্যে বিতর্ক

ফেলুদা, ব্যোমকেশের সিনেমা বা সিরিজ মুক্তি পেলে বরাবরই বিতর্ক চলে তা নিয়ে। তবে এবারের বিতর্কের মূলে খোদ ফেলুদারই একটা বক্তব্য। কিন্তু কী এমন বলেছেন সন্দীপ রায়ের ‘ফেলুদা’ ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত?

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘নয়ন রহস্য’। সেই সংক্রান্ত এক সাক্ষাৎকারেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ইন্দ্রনীল। ‘সত্যজিৎ-পুত্র’ হওয়ার দরুণ বরাবরই অনেক বাঁকা কথা সহ্য করতে হয় সন্দীপ রায়কে। অনেকেই বলেন, সত্যজিত রায়ের ছেলে বলেই নাকি এত খারাপ কাজ করেও ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে আছেন তিনি। এব্যাপারে কথা বলতে গিয়েই বেশ রেগে যান অভিনেতা। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘বাবুদার বাড়ীতে যাঁরা গৃহসহায়ক আছেন, ভদ্রতায় এবং ক্লাসে তাঁরা এদের চেয়ে ভাল।’

ইন্দ্রনীলের এই বক্তব্যেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। অনেকেই বলছেন, গৃহসহায়কদের শ্রেণীর কথা বলে অপমান করেছেন তিনি। কেউ লিখেছেন, ‘সন্দীপ রায়ের বাড়ির কাজের লোকেরা ক্লাসলেস?’ কারোর মন্তব্য, ‘কথায় কথায় কাজের লোকদের, ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়ানো লোকজনদের টেনে আনা বন্ধ করুন।’ এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘বড্ড ক্লাসিজেনের আঁশটে গন্ধ।’
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও লিখেছেন, ‘এটা কী ধরনের কথা!’ বোঝাই যাচ্ছে, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের এই মন্তব্য ভালোভাবে নেননি কেউই। তবে অভিনেতা পরিষ্কার করে বলেছেন, ‘সমালোচনায় আমার কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আক্রমণাত্মক সমালোচনায় আমার আপত্তি আছে। আমাদের কারোরই অভদ্রতা সহ্য করার প্রয়োজন নেই।’

ইন্দ্রনীল ঠিক বলেছেন না ভুল, তাঁর বলার আসল উদ্দেশ্য কী ছিল, তিনি আদৌ কাউকে অপমান করতে চেয়েছেন কিনা, সে নিয়ে বিতর্ক চলবেই। তবে শব্দচয়নের এদিক-ওদিক হলেই যে মানুষের আবেগ আহত হতে পারে, তা হয়ত প্রমাণ হয়ে গেল আরো একবার।

Author

  • Debasmita Biswas

    বেথুন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতক। পড়ার নেশা ছোট থেকে, প্রাথমিকভাবে লেখালেখির শুরু শখেই। তারপর সংবাদপত্র, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা পড়ার অভ্যাস আর বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখার পর বিশ্লেষণ করার শখ থেকেই ইচ্ছে সমালোচক হওয়ার। বিনোদনজগতের বিভিন্ন খবর করার পাশাপাশি নাটক এবং সিনেমা দেখে তার গঠনমূলক সমালোচনাও করেন তিনি।

    View all posts
Scroll to Top