জানুয়ারির ১০ তারিখেই আইনিমতে বিচ্ছেদ হয়েছে প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আর তারপরেই সুখবর জানালেন অভিনেতা ও তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। চলতি মাসের ১৪ তারিখ, ভালবাসার দিনেই তিনি রেজিস্ট্রি সারলেন তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী, অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে।
অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জনে সিলমোহর পড়েছিল আগেই, শোনা যাচ্ছিল বিয়ের জল্পনাও। সেই জল্পনা সত্যি করেই তৃতীয়বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন কাঞ্চন। তবে এটি কাঞ্চনের কততম বিয়ে, তা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ শ্রীময়ী। জানিয়েছেন, এখনো পুরো বিষয়টাই স্বপ্নের মত লাগছে তাঁর কাছে। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে যে ‘মিস’ থেকে ‘মিসেস’ হয়ে গিয়েছেন তিনি, তা এখনো বিশ্বাসই করতে পারছেন না।
শ্রীময়ী জানিয়েছেন, কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব বারো বছরের। এতগুলো বছরে অভিনেতাকে অনেকটাই কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তবে বিয়ের ব্যাপারে কাঞ্চন প্রথমে তাঁকে কিছুই জানাননি। শ্রীময়ীর পরিবারকে কাঞ্চন জানিয়েছিলেন তাঁর পরিকল্পনার কথা। বলেছিলেন, তাঁর মুখের দিকে তাকিয়েই অনেক বদনাম নীরবে সহ্য করেছেন শ্রীময়ী। এবার অভিনেত্রীকে যোগ্য সম্মান দিতে চান তিনি। ভালবাসার দিনে, অনেকটা ‘সিনেমা’র স্টাইলেই হাঁটু মুড়ে বসে কাঞ্চন বিয়ের প্রস্তাব দেন শ্রীময়ীকে। তাতেই চমকে যান শ্রীময়ী, সম্মতিও দেন এই বিয়েতে।
আর তারপরেই, বিয়ের ফুল ফুটল। আইনি কাগজে সইসাবুদের পালা চুকিয়ে সম্পর্ককে আইনি-স্বীকৃতি দিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, লাল শাড়ীর পাশাপাশি শ্রীময়ীকে প্ল্যাটিনামের একটি আংটিও উপহার দিয়েছেন কাঞ্চন। তবে আইনি বিয়ের পালা সাঙ্গ হলেও এখনই একসঙ্গে থাকতে শুরু করবেন না নবদম্পতি। আগামী ৬ই মার্চ সামাজিক রীতি মেনে বিয়ে করবেন তাঁরা। শ্রীময়ীর স্বপ্ন, পছন্দের ডিজাইনারকে দিয়েই বানানো হবে বর-কনের বেনারসী এবং পাঞ্জাবীর নকশা। বিশেষ রূপটান শিল্পীর কাছেই সাজবেন তিনি।
৬ই মার্চের পর থেকেই একসঙ্গে থাকতে শুরু করবেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। বিয়ের আগে প্রচুর অভিশাও কুড়িয়েছেন তাঁরা, বিয়ের পরেও হয়ত শুনতে হবে অনেক কটুবাক্য! তবু সব পেরিয়ে দু’জন যেন অনেকটা পথ চলতে পারেন একসঙ্গে, কামনা শুধু এইটুকুই।