বহু ছোটখাটো বিষয় নিয়েও তর্কাতর্কি বা আলাপ-আলোচনা চলতেই থাকে। কিন্তু তার ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় আসল সমস্যাগুলো। একমাত্র শিশুদিবস ছাড়া বছরের বাকি দিনগুলোয় কেউ কি ভাবেন শিশুশ্রমিকদের কথা?
বদ্রীনাথ সাউয়ের লেখা কাহিনীর উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে ‘হাতেখড়ি’। মৈনাক মিত্র ও কৌস্তুভ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে সম্প্রতি।
চাঁদ আর তার বন্ধুদের বয়স খুবজোর ১০-১২ বছর। কোন্নগরের কোনো না কোনো গ্যারেজ হোটেল কিংবা চায়ের দোকানে কাজ করে তারা। চাঁদের জীবনে একটাই স্বপ্ন, স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করা। পড়তে সে এতই ভালবাসে, হাতের সামনে যা পায়, তাই পড়ে ফেলে। বাদ দেয় না একটা খবরের কাগজও। এহেন চাঁদের জীবনে যখন সত্যিই এল স্কুলের পাঠ্যবই পড়ার সুযোগ, সেই সুযোগ তখন কোন ঝড় বয়ে আনল তার জীবনে? জ্ঞান বনাম ব্যবসার লড়াইতে জিতবে কে?
Copyright Entertainment ও FPS (Film Pertners Studioz) প্রযোজিত এই ছবিতে রয়েছে অনেক কচিকাঁচারা। রয়েছেন অভিজ্ঞ অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। শঙ্খদীপ ব্যানার্জী (চাঁদ), বিশ্বনাথ বসু, সোনালী চৌধুরী, সুমিত সমাদ্দার, কঙ্কনা হালদার, দেবরাজ ভট্টাচার্য্য, প্রান্তিক ব্যানার্জী, রাজু মজুমদার, মোমো, মিঠুন দেবনাথ, সৃজা বসু, রুদ্ররাজ চক্রবর্তী, প্রিয়দর্শিকা চক্রবর্তী, সায়ক দাস এবং রাকেশ ভট্টাচার্য্য থাকছেন এই ছবিতে।
ছবির মিউজিকের দায়িত্বে থাকছেন শুভঙ্কর দেবনাথ, শুভ্রদীপ বক্সী, সুপ্রতীপ ভট্টাচার্য্য এবং অমিত চ্যাটার্জী। ক্যামেরার দায়িত্ব থাকছে রিপন হোসেনের কাঁধে।
পরিচালকদের মতে, ‘হাতেখড়ি’ সাধারণ মানুষদের সাধারণ গল্প। ‘সিনেমা আমাদের সমাজের আয়না। হাতেখড়িতেও আমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবিই দেখানো হয়েছে, কিন্তু সমাজের একটু অন্যদিক দেখানো হয়েছে। সিনেমা আমাদের কাছে আবেগ। এই ছবিতেও আমরা সাধারণ মানুষের কিছু স্বপ্ন বোনার চেষ্টা করেছি।’ বলছেন পরিচালকেরা।
অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু জানান, ‘প্রায় একবছর আগে মৈনাক আমার কাছে স্ক্রিপ্টটা নিয়ে এসেছিল। শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা দারুণ! ট্রেলার দেখতে দেখতে আবার শ্যুটের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল। চাঁদ আর তার বাণীদিদি (কঙ্কনা) অসাধারণ।’ কঙ্কনা জানান, ‘চলচ্চিত্রজগতে হাতেখড়িই আমার প্রথম সন্তান, যাকে আমি লালনপালন করছি।’
বড়পর্দায় ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ২৯শে মার্চ।